আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশীয় প্রবাদ/প্রবচন/বাগধারা/ ডাকের কথা সংগ্রহ অভিযান ( বই আকারে প্রকাশিত হবে)

নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ মডারেশন চাই

আগেকার দিনে মানুষ কথায় কথায় নানা রকম প্রবাদ/ ছন্দ/বচন/বাগধারা ব্যবহার করত। গ্রামাঞ্চলে তার ব্যবহার বেশী ছিল। এধরনের কথাগুলো রসাত্মক,বিদ্রুপাত্মক,ছন্দময় এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে ৪০ উর্দ্ধ বয়েসী লোকজন এগুলো মাঝে মাঝে ব্যবহার করে থাকে। নতুন প্রজন্ম এসব খুব কম জানে।

শুধুমাত্র বাংলা ব্যাকরন বইয়ে কয়েকটা দেয়া আছে। কালের আবর্তে এধরনের অনেক আঞ্চলিক প্রবাদ হারিয়ে গেছে। অধিকাংশ প্রবাদই বেশ মজার। সামু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে প্রিয় ব্লগারবৃন্দের নিকট হতে আঞ্চলিক প্রবাদ আহ্ববান করছি। আপনারা আপনাদের জানা/ নিজ এলাকায়/ অন্য এলাকায় প্রচলিত/ পূর্বে প্রচলিত এধরনের প্রবাদ এখানে শেয়ার করুন।

বেশি অশ্লীল হলে বাদ । দুর্বোধ্য হলে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিবেন। খনার বচন বাদ। মোটামুটি পাঁচশ' প্রবাদ সংগৃহিত হলে আপনাদের সকলের পরামর্শ অনুযায়ী বই আকারে প্রকাশ করা হবে। (পরে সবগুলো বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো হবে) ০১. অই ছেরা তোর ডাটেঁর কথা- তোর মায় ফিনছে খাইল্যা পাতা।

০২. আগাছে ফল বেশি। /আকাইম্যা মাইনষ্যের কথা বেশি। ০৩. অমুকের পোলায় এস পি হইছে- তয় পাওয়ার কম। ০৪. আমিও রারি(বিধবা) হইলাম- রঙ বিরঙ্গের শাড়িও বাইর হইল। ০৫. আমি ছাড়তে চাইলে কি হইব- কম্বল তো আমারে ছাড়ে না।

০৬. আমি কই কি! আমার সারেন্দা বাজায় কি! ০৭. আ—লো সোনাভানের মা- কথার পুটুলি জান, কাম জাননা। ০৮. আছাড় খালি ক্যা??- রাস্তা আগাইলাম। । ০৯ আগে গেলে বাঘে খায়। ১০. বেচা গরুর চর্বি বেশি।

১১. পরের পোলা মোটাই থাকে। ১২. নিজের পোলায় খায় কম। ১৩. ভাত জোটে না- দুধ রোজ। ১৪. যেই ছাও ওড়ে, ঘরের ভিতরেই ওড়ে। ১৫. পেট মোটা হইলেই চেয়ারম্যান হয় না।

১৬. হাগা নাই গোয়ার ডাক কত!! ১৭. এই দোষ না হেই দোষ- মাগী তুই ঘুইরা শোছ। ১৮. বাড়ির গরু কোলার ঘাস খায় না। ১৯. উচিত কথার ভাত নাই। ২০. বউ কয় না হড়ি(শাশুড়ী)…টিলিক পাইরা মরি। ২১. কুত্তারে যাই তেলুই দিতে- কুত্তায় যায় গু খাইতে।

২২. শুয়োরের কপালে সিন্দুর লাগে না। ২৩. কুত্তার পেটে ঘি সয় না। ২৪. এক পোলা যার- হাজার নান্নত তার। ২৫. যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই। ২৬. চোরের দশ দিন, গিরস্তের এক দিন।

২৭. ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে। ২৮. পোলা হওয়ার খবর নাই- হাজামের লগে দোস্তি। / গাছে কাঁঠাল গোফে তেল। ২৯. এক গোয়ালে বিয়াইছে গাই- সেই রিস্তায় খালাতো ভাই। ৩০. উপকারী গাছের ছাল থাকে না।

৩১. পোলার বুদ্ধি গলায়। ৩২. পাগলা নাও ঝুলাইস না। –ক্যা। –আমি বাতায় খাড়া। ৩৩. এমনিতে ছাই- তার উপর বাতাস।

/ এমনি নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি। ৩৪. দাঁ এর চেয়ে আছাড় বড়। /বাশের চেয়ে কঞ্চি মোটা। /সূর্যের চেয়ে বালু গরম। ৩৫. মা'র জ্বলে না- মাসীর জ্বলে! ৩৬. সারা রাইত মারলাম সাপ- জাইগ্যা দেখি দড়ি।

৩৭. ছাল নাই কুত্তার বাঘা ফাল। ৩৮. পারে না বাল ফালাইতে, উইঠ্যা থাকে রাইত না পোহাইতে। ৩৯. ভাত খাইতে বাসন নাই, থালের গড়াগড়ি। ৪০. চোরের মা'র বড় গলা। ৪১. আপন গাঁয়ে শিয়াল রাজা।

৪২. খালি কলসি বাজে বেশি। ৪৩. বাপের নাম কুদ্দুস- পোলায় করে দুধ রোজ। ৪৪. তুমি কি আমারে রাখবা না?- মাগী মাইরে বোঝস না? ৪৫. ঝি রে মাইরা বউরে বুঝায়। ৪৬. দশের মোড় গাছের মোড়। ৪৭. শুকাইলেও আদার ঝাঝ যায় না।

৪৮. হাতি মরলেও গাধার চেয়ে উচা থাকে। ৪৯. বড়র বড় গুন- শুয়ে ঘাস খায়, গায়ের গুমানে ছাগল লরলরি বায়। ৫০. যদি বরে মাঘে- সোনা ফলে বাগে। ৫১. যদি বরে পৌষে – কড়ি বিকায় তুষে। ৫২. যদি বরে মাঘের শেষ- ধন্য রাজার পূণ্য দেশ।

৫৩. যেই গরু দুধ দেয়- তার লাথি খাওয়াও ভাল। ৫৪. এক মায়ের এক পুত- মইরা গেলে কুক্কুরুত। ৫৫. বাবার কালে ছিল না গাই- চালন খান দোহাই খাই ৫৬. আইগে(হাগু করে) সোচে না- মুতে গলা পানিতে যায়। ৫৭. চুরি চুরি সিনা জুড়ি। ৫৮. ভাত পায় না- ছালুন ছালুন করে।

৫৯. কাজীর গাই কিতাবে আছে- গোয়ালে নাই। ৬০. দারোগায় বলছে চাচি, আমি কি আর আছি!!! ৬১. যার কাজ তারেই সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে। ৬২। একবার রাজাকার আজীবন রাজাকার, একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়। ৬৩।

মা'র থেকে যার দরদ বেশী - সে হইল ডাইনী। ৬৪। পাগলে কি না কয়!! ছাগলে কি না খায়!! ৬৫। চোর না শুলে ধর্মের কাহিনী। ৬৬।

চোরে চোরে মাসতুতু ভাই। ৬৭। কলা গাছ কাটতে কাটতে ডাকাইত। ৬৮। যদি থাকে নসিবে- আপনি আপনি আসিবে।

৬৯। হাতি মরলেও লাখ টাকা। ৭০। চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে। ৭১।

চোরের উপর বাটপারি। ৭২। জ্বর হইছে বউ নেংটা হইল, সেই থেইকা তার অভ্যাস হইল। ৭৩। মাইরের উপর ওষুধ নাই।

৭৪। মাইরের / ঠেলার নাম বাবাজী। ৭৫। বৃক্ষ তোমার নাম কি?- ফলে পরিচয়। ৭৬।

উচিত কথায় বন্ধু বেজার, গরম ভাতে বিলাই বেজার ৭৮। নতুন নতুন বাল গজাইলে মানুষ আয়না দিয়া দেহে। ( নাহোল) ৭৯। যদি থাকে বন্ধুর মন- গাং পাড় হইতে কতক্ষন। ( জীবনানন্দ দাশের ছায়া) ৮০।

নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। ৮১। লাই কুত্তার পাতে ভাত। ৮২। ভাতও ভালো , চিড়াও মন্দ না।

( ৮০,৮১,৮২ ূুসর্বনাম ) ৮৩। খাইতে পায় না খুদের ভাত, পু*কি দিয়া দেয় ম্যারা পিঠা। (আরফার ) ৮৪। জাতের পোলা আববা কয়..কুকখেনের পোলা শালা কয়। ৮৯।

তালৈর চে পুতরা ভারি। ৯০। শকুন যতই উপ্রে উঠুক তার নজর নিচেই থাকে। ৯১। শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।

৯২। নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো। ৯৩। ভাত পায় না চা খায়, হোন্ডা নিয়া হাগতে যায়। ( মোসারাফ ) ৯৪।

কুইত্যা হাগে না ক্ষিদার ডড়ে। ৯৫। ভাত পায় না - ছালুন ছালুন করে। ৯৬। যার মনে যা - ফালদা ওঠে তা।

( প্রলাপ) ৯৭। কুত্তার, দৌড় ছারা হাডা নাই, বাইত গা ( ঘরে গিয়া ) দেহে কাম নাই। (কালাচান) ৯৮। যদি হয় সুজন, তেতুল পাতায় নয়জন। (গ্রাউন্ড ফ্লোর) ৯৯।

না পাইয়া পাইছে ধন বাপে পুতে করে কিত্তন। ১০০। আদার ব্যাপারি জাহাজের খবর । ১০১। ঝি (মেয়ে) কে মেরে বউকে শিক্ষা।

১০২। আপন ভালাতো জগত ভালা । ১০৩। আপনার চেয়ে পর ভাল পরের চেয়ে জংগল ভাল । ১০৪।

সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে । ১০৫। ভাই বড় ধন রক্তের বাধঁন পৃথক যদি হয় নারীর কারন । ১০৬। মক্কার মানুষ হজ্ব পায়না।

১০৭। মার পরনে ছেড়া ত্যানা পুতে করে বাবু আনা ১০৮। নাই কাজ তো খই ভাজ। (১০০-১০৮ সত্য সন্ধানী আমি) ১০৯। কাম নাই কুত্তার/ আইলে আইলে দৌড়।

১১০। বাপ না গোতে/ চোঙ্গায় চোঙ্গায় মোতে। ১১১। ঘটি ডোবে না নামে তালপুকুর। ১১২।

ডাইলের মধ্যে মুশুরি / সাগাইর (আত্মীয়) মধ্যে শ্বাশুড়ি। (১০৯-১১২ অনার্য তাপস) ১১৩। পথে পাইছ কামার , দাও ধারানি আমার । । ১১৪।

পুরান পাগলের ভাত নাই, নতুন পাগলের আমদানি। (১১৩,১১৪ কেলকুলাস) ১১৫। কাচাই না নোয়ালে বাশ পাকলে করে ঠাস ঠাস। ১১৬। ঘর পোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।

১১৭। ঘায়ো কাঠালের মুচি খদ্দর। ১১৮। কেউ মরে বিল সেচে কেউ খায় কই। ১১৯।

আপনা মাসে হরিনা বৈরি- হরিনের শত্রু তার মাংশ। ১২০। বেল কুড়িয়ে রাঈ। ১২১। গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল।

(১১৫-১২১ েভােরর স্বপ্‌ন) ১২২। ধরি মাছ না ছুঁই পানি। ১২৩। যে মুলোটা বাড়ে তা পত্তনেই বুঝা যায়। ১২৪।

ডান্ডা মেরে ঠান্ডা ১২৫। কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। (১২২-১২৫ নষ্ট ছেলে) ১২৬। পেটে নাই গু, জিলাপী হাগনের সখ হইছে!! ১২৭। কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালেই পাজী! (১২৬,১২৭ ফটিক চাঁদ) ২২৮।

সারা রাইত মারলাম সাপ- জাইগ্যা দেখি দড়ি। (সায়েম মুন) ১২৯। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। ১৩০। ন্যাড়া বেলতলায় একবারেই যায়।

(১২৯,১৩০ চে গুয়েভারা ২) ১৩১। ভিক্ষা চাইনা মা তোর কুত্তা সামলা। ১৩২। সকালে পেঁয়াজ খাইলে বৈকালেও ঢেউক আইয়ে। ১৩৩।

সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। ১৩৪। নেংটার নাই চোরের ভয়। ১৩৫। দেখ দেখ কর্ম শিখ শিখ ধর্ম (১৩১-১৩৫ সুপান্থ সুরাহী)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.