আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্প্রদায়িক শান্তিনিকেতনিরা এখন বাঙ্গালিত্বের সার্টিফিকেট দিচ্ছে!

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল

মিডিয়াতে কিছুদিন পর পর বুদ বুদের মত কিছু আগাছা, নিজের কুৎসিত চেহারা দেখায়। কারণ এরা সমাজের এতই খুদ্রাংশ যে, অণুবিক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের সমাজে গোণায় ধরা যায় না। এদের চাল চলন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে মেলে না। এর পরেও এরা প্রলাপ বকার সুযোগ পায়, কেননা মিডিয়া, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে এরা মাফিয়া তন্ত্র কায়েম করে রেখেছে। আর বাধ্য হয়েই ওদের কুৎসিত চেহারা ও মুখ নিস্তৃত বাণী না চাইলেও সাধারণ মানুষকে শুনতে হয়।

৭১ টিভি নামে চেতনাধারি আওয়ামি লিগের একান্ত বংশদবত একটি টিভি চ্যানেলে আজকাল এই সব অখাদ্যের মেলা বসেছে। মুলত এরা সাংস্কৃতিক কর্মি, যাদের জগত ওই বেইলি রোড পর্যন্তই। আওয়ামি লিগের কল্যাণে এরা বেশ কিছুদিন শাহাবাগ জাকিয়ে বসিয়েছিল। সেখানেই দেখলাম মিতা হক নামে জনৈক রবীন্দ্র সংগিত শিল্পি দাড়ি টুপি হেজাব ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা নাকি বাঙ্গালিই না।

এর আগে দেখলাম, রোকেয়া প্রাচি নামে এক নাটকের মহিলা, তেতুলের সাথে তুলনা করাতে মওলানা শফিকে বেশ এক হাত নিয়েছিল। রোকেয়া প্রাচির মত কোথাকার কোন নাটকের মহিলার স্পর্ধার পেছনে ওই চেতনাধারিদের আশকারা রয়েছে। আর চেতনাধারিদের এক দল ব্যাস্ত লুট পাট দুর্নীতি ধর্ষন (ভিডিও করে বাজারজাতকরণ) দখলবাজি টেন্ডারবাজি, বিরোধী মতকে দমন পীড়ন। আর আরেক দল রয়েছে, আমাদের ভাষা সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে ধবংস করে তাদের প্রভু দাদাদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে। তারই ফলশ্রুতিতে দেখছি, এই সব রবীন্দ্র সংগিত শিল্পি আর নাটক পাড়ার মহিলা পুরুষরা অসাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।

শিরোনামে সাম্প্রদায়িক শান্তিনিকেতনি কথাটা ভুল কিংবা মিথ্যে নয়। কারণ এর প্রতিষ্ঠাতা যত বড় কবিই হোন না কেন, তার চরিত্রের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং পুর্ব বাংলার প্রতি চরম বিদ্বেষ ছিল। অবশ্য সে সময়কার কোলকাতার প্রায় সব হিন্দু লেখকরাই মুসলমান বিদ্বেষি ছিলেন। সেই সাম্প্রদায়িক লোকটার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাঙ্গন থেকে পাশ করাদের মুখ দিয়ে মুসলমান বিদ্বেষ যে ঘটবে, এটা অবাক হবার কোন ঘটনা নয়। সেই আবর্জনা বাংলাদেশে এসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মিতা হক তারই একটি প্রমান।

৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত স্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতি ঐতিহ্য চলবে, এর সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের জীবনাচারের উপর ভিত্তি করে। ভারতের মত ভিনদেশি একটা রাস্ট্রের একটি প্রদেশে অবস্থিত কোন শিক্ষাঙ্গনের কুশিক্ষায় শিক্ষিত কোন গায়িকা বা নাটক পাড়ার চরিত্র খোয়ানো কোন নারী পুরুষের কথায় নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.