া
বাধভাঙ্গার আওয়াজে গলা মেলাতে/কমেন্ট করতে গিয়ে প্রথমেই বাধে বাধা পেলাম...নতুন ব্লগাররা নাকি প্রথম পাতায় এক্সেস না পাওয়া পর্যন্ত কমেন্ট করতে পারবেন না...ব্লগে আমি একদমই নতুন..তবে এটুকু বুঝতে পারি যে সঙ্গত কারণেই কর্তৃপক্ষ হয়ত এই বাধ দিতে বাধ্য হয়েছেন... তারা বলেছেন - "কিছু ব্লগারের নতুন নিক রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে, ফ্লাডিং এবং ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যকে ঠেকানোর জন্য সাময়িক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে"....আর এও বুঝতে পারি যে ব্লগে কিভাবে এবং কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা হবে টা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়ে গেছে...যার কিছুটা আভাস পাওয়া যায় নোটিশ বোর্ডের কমেন্ট গুলো থেকে...কিনতু এটা বুঝি নাই যে পাঠক দের উপর নির্ভরশীল কোনো নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা চালু আছে নাকি...যেখানে পাঠকরাই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন কোন পোস্ট থাকবে বা থাকবে না...সম্ভবত এটা পুরনো বিতর্ক...কিনতু এটার বিপক্ষে যুক্তি গুলো জানা নাই আমার...সম্ভবত অনেকে বলতে পারেন যদি পাঠক দের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট মতের মানুষ বেশি থাকেন তাহলে পুরো ব্লগের চেহারাই সেই মতের হয়ে যাবে...সত্য...কিনতু বাধভাঙ্গার আওয়াজ শুনতে চাইলে তো বাধ শক্ত করে লাভ নেই...ধরা যাক আস্তিক আর নাস্তিক বিতর্কে যদি নাস্তিকরা বেশি ভোট দেয়, সংখ্যায় বেশি থাকে, একজন যদি অনেকগুলো নিক তৈরী করার মত জোশ দেখায়, তাহলে সেটাকেই বাধভাঙ্গার আওয়াজ মনে করতে দোষ কি? তা না হয়ে যদি কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করেন কোনটা "গঠনমূলক", কোনটা "সংঘাতপ্রয়াসী", "উস্কানীমূলক" অথবা "সমালোচনামূলক" এর সাথে "ব্যক্তিগত আক্রমণ" এর সীমারেখা কি, তাহলে শুধু বাধভাঙ্গার আওয়াজ না দিয়ে "আমাদের দৃষ্টিতে বাধভাঙ্গার আওয়াজ" দিলে সমস্যা কি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।