ফিরবে পথের কোলাহলে...আমার এ গান পথ দেখাবে...নতুন দিনের মিছিলে....
অনেকদিন হয়ে গেল
দেখিনা তোমায়....
অনেক না বলা কথা জমে রয়েছে বুকের গভীরে কোথাও।
গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠে এসে
খুবই কষ্ট দিচ্ছে আমাকে কথাগুলো ইদানিং
ইচ্ছে হচ্ছে খুব জোরে চিৎকার করে বলে উঠি.....কতদিন তোমায় দেখিনা
কিভাবে থাকো তুমি আমাকে ছাড়া ?
কিভাবে খাওয়াদাওয়া আর বর্জ্য ত্যাগ করার মত সহজ ভংগীমায়
করে যাচ্ছ যাবতীয় জাগতিক কর্মযগ্গ ?
আমার শুন্যতা তোমাকে কি এক মুহূর্তের জন্য বিচলিত করে না !
বান্ধবী মহলের শান তুমি- তোমার হাসিতে হাসে,কান্নায় কেঁদে বুক ভাসায়
তোমার অনুগত চামুন্ডার মতো ঐ পিশাচিনীর দল,
ব্যস্ত রাজপথে মধ্যদুপুরের তেতে ওঠা রোদেও তোমার গাড়ীর টিনটেড গ্লাস
ঘষা কাঁচের মতো ঘোলা হয়ে যখন সদর্পে ঘোষনা করে
গাড়ীটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
পাশের জ্যামে পড়া মিনিবাস থেকে জীবনযুদ্ধে পরাজিত ঘাড় নুইয়ে থাকা
ছাপোষা কেরানীর দীর্ঘশ্বাস এর কারন হও তুমি,
তোমার ঘাড় খোলা বড় গলার ঐ মাসাক্কালী তাকে সুড়সুড়ি দেয়---
অথবা যখন গর্বিত রাজ হাঁসের মত বুক টান করে হেঁটে যাও তুমি...
কলেজ পড়ুয়া কচিবালকের কল্পনার রাজ্যে
ফিরে ফিরে তার শয্যাসংগী হও তার গোপন মৈথুনের
তোমার কোমরের বাঁক দেখে এখনো কি লোভাতূর চোখে তাকিয়ে থাকে
হায়েনার মত অতৃপ্ত ক্ষুধার্ত অক্ষম পুরুষ !
সাড়ে তিনহাত জায়গার মধ্যে আমার পচাগলা দেহের মাঝে থাকা
পঁচে যাওয়া হৃদয় থেকে এখনো কেন যেন
কিছু একটা দলা পাকিয়ে উঠতে চায়....
বোকার মত দাঁত কেলিয়ে থাকা গ্রাম্য প্রেমিকের বত্রিশ দাঁত বের করে
নিরবে আস্ফালন করে নিষ্ফল আক্রোশে
এপিটাফের কাঁচা রোমানা পেইন্ট
তখনো গন্ধ ছড়ায় তার ১৯৫৩ সাল থেকে ছড়ানো গন্ধ//
কবরের ওপরে তখনো গজিয়ে পার পায় না দূর্বাঘাস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।