উঁকি দাও ফুল!
প্রেমিক, বণিক, আর আছে প্রশাসক
কবি আছে বেশ কিছু, আছে প্রতারক
যশ-খ্যাতি-মোহ আর ত্বকজাত টানে
ঘোরে চাকা জগতের, সকলেই জানে।
জানে সেটা খারেজিও, জেনে লাভ নাই
ভগবান দিল তারে বড় অতি খাই।
আদিম কল্পনার, যারে দেখে নাই
তারি প্রেমে খারেজিটা মাতাল সদাই;
প্রেমের ভারেতে তাই কাঁপে থরোথরো
জ্ঞান বা হারায় বুঝি, ধরো ওকে ধরো।
কখনো পেল না সাড়া, জয় সংশয়,
সংশয়ে প্রেম-ই শুধু গাঢ়তর হয়।
অভিমানে খারেজিটা বাঁকা হাসি হাসে,
আড়ালে প্রভুরও কি গলা ভিজে আসে?
মাবুদের কাণ্ডটা রসিকতা ভারি
খারেজিরে বানালেন মাছিদের ধারি;
দুষ্ট-ক্ষতটা ঢেকে পশুটা সুশীল!
তারি ’পরে খারেজিরা সদা কিলবিল।
মরিয়া পশুও মারে লেজের চাবুক,
তাই দেখে যত কথা ভাবেন ভাবুক।
প্রতি ভোরে খারেজিটা শান দেয় দাঁতে
আপন দাঁতের ভারে কাঁদে রোজ রাতে।
চলন্ত বাসে যারা ছুটে গিয়ে ওঠে,
কিংবা হাতল ধরে প্রাণপণে ছোটে,
সামাল সামাল খুব, হাত দিয়ে ছেড়ে;
বোকার হাসিতে দেখে বাস যায় তেড়ে।
অথবা থামিয়ে সব, দীর্ঘ মিছিলে
শবের কাফন নিয়ে সারি বেঁধে চলে
সবলে পেরোয় পথ, ওই ভীড়ে মিশে
ওদের গায়ের ওমে খোঁজে খারেজিরা দিশে,
মিছিলের ভিড়ে তার পাতা আছে কান
নীরব ভাষায় শোনে সত্ত্বার গান
বিবর্তন আবর্তন মহাবিষ্ফোরণ
সবি মেনে খোঁজে তাও “প্রথম কারণ’।
হাড়গোড় রেখে দিয়ে আপনার হাতে
খারেজিরে পাঠালো কে তাই খুঁড়ে পেতে!
মহাকাশে মহাবেগে মহা-মহাযান,
তাহারেই খুঁজে খুঁজে বৃথা হয়রান।
জ্ঞান আর এশেকের বিপরীত টান,
কেড়ে আজ নেয় বুঝি খারেজির প্রাণ।
খারেজিরও জানবাজি, নিয়ে প্রাণ যাও,
ঝলকে পলকতরে দ্বিধাটা ঘোচাও।
খারেজি মানুষ শুধু, আর কিছু নয়
খারেজিই মানুষ বটে, আর কেহ নয়।
আপনার আঁধারের রূপ বুঝিবারে
পাঠালেন প্রভূ তারে এই চরাচরে।
খারেজি আসলে শিশু, আযাযিল প্রায়
রক্তস্রোতেতে প্রভূ মেশান ধরায়,
কাল শেষে টেনে নেন আপনার কোলে
তখনিতো খারেজিটা অভিমান ভোলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।