আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম ব্যবসায়ীদের বাস্তব চিত্র

দেশের মানুষকে ভালোবাসি

বাংলাদেশের মানুষ নাকি বড়ই আবেগপ্রবণ। যারা এ দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করে ,তারা ভালো দলের উপর অভিযোগ উথ্থাপন করে আর বলে তারা নাকি সহজ সরল মানুষ কে ধোকা দিয়ে ধর্মের নামে ব্যবসা করে। কিন্তু অভিযোগকারীরা নিজেরাই যে আবেগপ্রবণ মানুষকে ইসলামী দল বা ইসলামী ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে রাগান্বিত করে তুলে,সে কথা বেমালুম ভুলে যায়। সবাই মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের চিন্তাধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তবে বাংলাদেশে এ পর্য়ন্ত ইষলাম বিদ্বেষীরা যে বেশী সফল হয়েছেন,তা অস্বীকারের সুযোগ নেই।

যদি তাই না হয়,তাহলে দেখুন বাস্তব অবস্হা : যারা জামায়াত-শিবিরের নাম শুনলেই ধর্মব্যবসায়ী বলে আত্নতৃপ্তি লাভ করেন,তাদের প্রশ্ন করি ;আসলেই কি জামায়াত ধর্মের নামে ব্যবসা করে ?যদি ধর্মের নামে তারা মানুষের আবেগকে কাজে লাগাত,তাহলে তো আবেগতাড়িত হয়ে দলে দলে লোকজন তাদের দলেই শামিল হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বরং যারা এই দলে যোগ দেয়,তারা যতটা গালাগালি,নির্য়াতন,হয়রানি আর অপবাদের শিকার হয়,তা অন্য দলে কল্পনাও করা যায় না। অনেকে আবার আবেগতাড়িত হয়ে অন্যের মুখস্ত করা বুলি আওড়িয়ে বলেন,"জামায়াত ধর্মের নাম নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। " অথচ এটা কত অজ্ঞতাপ্রসূত ও বাস্তবতাবিবর্জিত তা সহজেই অনুমেয়।

যদি ইসলামের নাম নিলে ক্ষমতায় যাওয়া সহজ হত,তাহলে জামায়াত এখনো পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারল না কেন ? বরং ভবিষ্যতে আরো কত বছর লাগতে পারে,তাও নিশ্চিত নয়। কিন্তু যদি আরো শত বছরও প্রয়োজন হয় তবুও তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরে যাবে না। *ক্ষমতাই যদি তাদের প্রধান টার্গেট হয়ে থাকে,তাহলে আপনি জামায়াত-শিবিরের কয়জন নেতার নাম বলতে পারবেন যারা বড় পদের আশায় অন্য কোন দলে যোগ দিয়েছেন ? অথচ বাংলাদেশের অন্য দলে এর বহু নজীর বিদ্যমান। *যারা আওয়ামীলীগ অথবা বি এন পি করেন তাদের কয়জন বলতে পারবে,জীবনের বিনিময়ে হলেও আমি আমার দল করে যাব। অথচ আপনি যাদের ধর্মব্যবসায়ী বলেন সেই জামায়াত-শিবি রের একজন নগন্য কর্মী পর্যন্ত নির্দ্ধিায় বলেন,জীবন দিয়ে হলেও আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাব।

*বর্তমানে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের নির্মূলের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এতকিছুর পরও তাদের কর্মীরা অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে বলে,"ইসলামী আন্দোলনে তা একেবারেই স্বাভাবিক। " *তাহলে আপনিই প্রমাণ পেশ করুন ; তারা কোন জায়গায় ধর্মের নামে ব্যবসা করছে ? *বরং অনান্য রাজনৈতিক দলে যতদ্রুত নেতা হওয়া যায়,জামায়াত-মিবিরে তা চিন্তাও করা যায় না। আর এখানে যদি কেউ নেতা হওয়ার কামনা করে,সেই হলো চরম অযোগ্য ব্যক্তি। তাহলে একটি প্রশ্ন জাগে,কেন জামায়াত শিবির এত নির্য়াতনের পরও তাদের কাজ চালিয়ে যায় ?কোন লাভে ?কোন স্বার্থে ?তাহলে সেটা কেমন ব্যবসা ? এ ব্যপারে কোরআনের একটি আহবান স্বরণ করে দেয়া যায়, "হে ঈমানদারগণ ! আমি কি তোমাদেরকে একটি ব্যবসার কথা বলে দিব ?যা করলে তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পারবে ;তাহলো তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে,এবং তার রাসূলের প্রতি এবং জান মাল দিয়ে সঙগ্রাম করবে আল্লাহর পথে।

" জাহান্নাম থেকে বাঁচার স্বার্থে তারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করে। পার্থিব কোন চাহিদার জন্য নয়। তাই জামায়াত করলেই কেউ মুক্তি পেয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। বরং আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যেই কাজ করবে ,সেই মুক্তি পাবে। চাই সেটা আওয়ামীলীগ,বি এন পি বা জামায়াতই হোক না কেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.