বিবেক বিবাগী নামটা শাহানা বাজপাই-এর কাছ থেকে ধার করা, খুব সুন্দর একটা শব্দ। তাই নিক হিসেবে দিলাম।
গতকাল রাতে হুমায়ুন আহমেদ -এর একটা উপন্যাস পড়লাম, বৃষ্টি বিলাস। খুব সুন্দর লাগলো। গল্পের এন্ডিংটা দেওয়া নেই, কিন্তু আন্দাজ করতে পারছি।
খুব সুস্থ একটা সম্পর্কের কথা পড়তে ভালোই লাগে। ইদানীং তো ঔপন্যাসিকরা (এমনকি হুমায়ুন আহমেদ নিজেও) আজব আজব সম্পর্কের কথা তুলেছেন, কিন্তু আসলেই মধ্যবিত্ত পরিবারে যদি কোন মেয়ের সাথে কোন ছেলের বিয়ে ঠিক হয়ে আবার ভেঙ্গে যায়, তবে তাদের মনে এক অদ্ভূত অনুভূতি হয়। এরকম আমার খালার এক বান্ধবী বিয়ে ভেঙ্গে যাবার খুব নাকি কাঁদছিলো, আমি তো তখন খুব অবাক হয়েছিলাম, কিন্তু উপন্যাসটা পড়ে বুঝতে পারলাম, কেন এই ফিলিং টা হয়। আর গল্পের নায়ক আতাউরের মাঝে আমি নিজের ছায়া যেন খুঁজে পেলাম। আমিও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।
এটা অনেকেই বুঝতে পারে না, কিন্তু আমি জানি। তবে একটা কথা কি, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন দিক দিয়ে অসুস্থ। উপন্যাসটিতে বেশ কিছু চরিত্র আছে, সবগুলোই খুব বিশ্বাসযোগ্য, এমনকি শামা যখন তার বাড়িওয়ালার প্রতি অনেক অনুরুক্তি দেখায়, তখন তার ছোট বোনের করা মন্তব্য-ও একটা আঘাত দেয়। কিন্তু সত্যিই যে মানুষের এমন মনে হয় না, তা তো না। গল্পে আতাউরের জীবনের যে মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পারি, তাতে যে কোন পাঠকের হৃদয় কিছুক্ষণের জন্য হলেও কেঁপে উঠবে।
এছাড়া যখন বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর শামা আতাউরের বাসায় ফোন করে শুনে যে অসুস্থ, খুব অসুস্থ; এরপর শামার যে অনুভূতির কথা লেখক বলেছেন, খুব-ই আশ্চর্যজনক ভাবে সঠিক। ঠিক এমনটিই যেন অনুভূতি হতো, পুরো পৃথিবীটা যেন পায়ের নিচে ঘুরছে।
যাহোক, এটা তো শিরোনামেই লেখা আছে যে আমি খুব আনাড়ী পর্যালোচক, কিন্তু একটা ভালো জিনিস পড়লেও মানুষকেও পড়তে বলতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষকে বলি যেন উপন্যাসটি পড়ে, তার-ই একটা প্রয়াস হিসেবে পোস্ট টি করলাম। কেই যদি পোস্ট টা পড়েন, তবে "বৃষ্টি বিলাস" উপন্যাসটি কখনও পড়ে নিয়েন, আর কেউ আগেই পড়ে থাকলে আপনার অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।