আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো নির্বাচিত হতে পারবে কি না সে বিষয়ে বাংলাদেশে ‘অনেকের মধ্যে’ সন্দেহ রয়েছে উল্লেখ করে ইকোনমিস্টের সর্বশেষ সংখ্যায় একে নিবন্ধে বলা হয়, “এ সন্দেহের কারণ কেবল এটা নয় যে বাংলাদেশে একই দলের পরপর দুই বার নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত ত্রুটিপূর্ণ অথচ জনপ্রিয় একটি আদালত ২০১৩ সালের শুরুতে যখন রায় দেয়া শুরু করে, তখনও মনে হয়েছিল যে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ”
দ্য ব্যাটেলিং বেগমস শিরোনামের ওই নিবন্ধে এর পরপরই বলা হয়েছে, জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকেই (ট্রাইব্যুনালে) দণ্ডিত করা হবে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচনের আগেই হয়তো তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে। এর জবাবে বিরোধী দল এই বিচারকে দেখাচ্ছে ইসলামবিরোধী ও ধার্মিকদের মধ্যে এক লড়াই হিসাবে।
আর এই পথ ধরেই কিছু মৌলবাদী দাবি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির শুরু।
“হেফাজতে ইসলাম দ্বিতীয়বার ঢাকায় সমাবেশ করার সময় তাদের অন্তত ৫০ জন সদস্য নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। সংগঠনের তরুণ সদস্যরা এলাকায় ফিরে গিয়ে প্রচার চালান, তাদের হাজার হাজার কর্মীকে ঢাকায় হত্যা করা হয়েছে। আর এতে সারা দেশে সরকারের জনপ্রিয়তায় মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ”
শাপলা চত্বরে গত ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওই অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডানপন্থীদের সমর্থনপুষ্ট হিসাবে পরিচিত এই সংগঠনটি মতিঝিল অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সরকারের পক্ষ থেকে অধিকারের কাছে কথিত সেই নিহতদের তালিকা চাইলেও অধিকার তা দিতে অস্বীকার করে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
ম্যাগাজিন সাংবাদিকতার ‘পশ্চিমা গুরু’ ইকোনমিস্টের কাছেও এবার ‘নিহত’ ৫০ জনের তালিকা চাওয়া যেতে পারে।
ইকোনমিস্ট আওয়ামী লীগকে উল্লেখ করেছে ‘নমিনালি সেক্যুলার’ হিসাবে। এটারই বা অর্থ কি!
পাশাপাশি কী কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ইকোনমিস্ট ‘ত্রুটিপূর্ণ অথচ জনপ্রিয়’ বলছে- সে প্রশ্নেরও জবাব চাওয়া প্রয়োজন।
কারো নাম প্রকাশ না করলেও বিদেশি কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে ইকোনমিস্ট ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ভবিষ্যৎবাণী করে ফেলেছে। অত্যন্ত কৌশলে মতামতকেই সংবাদ হিসাবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে পশ্চিমের প্রভাবশালী এ সাময়িকী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।