আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইকোনমিস্টের সাইবার কেলেঙ্কারী

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য স্থাপিত আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ ও বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করায় ব্রিটেনের খ্যাতনামা সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাময়িকীটির সম্পাদক ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোপ্রধানকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক তার আদেশে বলেন, বিচারকাজ পরিচালনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালতের কর্মপদ্ধতি ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে ব্রাসেলসে বসবাসকারী যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ হতো মূলত ই-মেইল ও স্কাইপের মাধ্যমে। কয়েক দিন আগে বিচারক বুঝতে পারেন যে, তার ই-মেইল ও স্কাইপ অ্যাকাউন্ট আক্রান্ত (হ্যাকড) হয়েছে। এরপর গত বুধবার এক ব্যক্তি টেলিফোন করে ইকোনমিস্টের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিচারকের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। ওই ব্যক্তি বলেন, ই-মেইল ও স্কাইপের মাধ্যমে জিয়াউদ্দিনের কথোপকথনের সব তথ্য তাদের কাছে (ইকোনমিস্ট) রয়েছে। ওই ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।

ট্রাইব্যুনাল মনে করে, এভাবে বিচারকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, ট্রাইব্যুনালের বিচারে হস্তক্ষেপ এবং বিচারককে টেলিফোনে প্রশ্ন করা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে আদেশ জারি করে ট্রাইব্যুনাল। বিচারকাজ সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ না করতে ইকোনমিস্টকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আদেশের একটি কপি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও পাঠানো হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.