আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের অন্তত ২০০ কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বাস্তবায়ন করা হবে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমার সরকারের কাছে আবারও চিঠি দেওয়া হবে। মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি অপ্রিয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ, সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের তৎপরতায় বাদসাধা এবং মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের সামনে যুৎসই কোনো বিকল্পও খোলা নেই। গত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং তা সীমিত সম্পদের জনবহুল এই দেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেও অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ টানাপড়েন সৃষ্টি করছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র আসছে বাংলাদেশে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। আমাদের বিশ্বাস মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অবৈধ অনুপ্রবেশের ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ কিছুটা হলেও ঠেকানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধেও অবদান রাখবে কাঁটাতারের বেড়া। আজকের যুগে কোনো দেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই অপ্রিয় সিদ্ধান্তের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এ বিব্রতকর সিদ্ধান্তটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েন এবং অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ থেকে বাংলাদেশকে রেহাই দিলে তা হবে এক বিরাট অর্জন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.