উপক্রমণিকা: পবিত্র কোরআন শরীফ আরবিতে Hypermetric Rhythm এ নাযিল হয়েছে। আরবির পরে বাংলা হল দ্বিতীয় ল্যাংগুয়েজ যেখানে কোরআন একই রকমভাবে ছন্দায়িত অনুবাদ হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সর্বপ্রথম একে কাব্যিক ভঙিমায় অনুবাদ করার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তার এই চেষ্টা বেশিদূর যেতে পারেনি, তিনি কেবল "আমপারা" টুকু অনুবাদ করতে পেরেছিলেন কিন্তু তা ছিল গুরুগম্ভীর, অলংকৃত ও দূর্বোধ্য। ২০০৬ সালে গবেষক পান্না চৌধুরী সম্পূর্ণ ৩০ পারা কুরআনকে ছন্দোবদ্ধ আকারে অনুবাদ করতে সক্ষম হন।
ডিসক্লেইমার: ছন্দোবদ্ধ অনুবাদ বলতে প্রতিটি লাইনের শেষ বর্ণের উচ্চারণের মিলটুকু বুঝানো হয়েছে। দয়া করে কেউ একে ছন্দের প্রকারভেদের মধ্যে ফেলতে যাবেন না, স্বরবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত নাকি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে পড়েছে সেই প্রশ্নও করবেন না। কি ধরনের অন্ত্যমিল রয়েছে সে প্রশ্ন করাও অবান্তর। ব্লগে অনেক কবি আছেন যারা এই অনুবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন। ইতিপূর্বে ব্লগার পাপতাড়ুয়া (প্রাক্তন পাপী০০৭) এর সাথে এই বিষয়ে ক্যাচাল হওয়ায় বিষয়টি আমি আগেই ক্লিয়ার করে দিলাম।
পর্ব: ১৭
সূরা: শামস
অর্থ: সূর্য
সূরার ক্রম: ৯১
পারা: ৩০
অবতীর্ণ: মক্কা
আয়াত সংখ্যা: ১৫
রুকু: ১
শুরু করি তা্ঁর নামে আল্লা যিনি
পরম করুণাময় দয়ালু তিনি।
কসম ওই সূর্যের ও তার কিরণের
সূর্যের পশ্চাতে আসে আরো সেই চাঁদের।
কসম দিবসের উদ্ভাসিত করে সে যখন
রাত ও সেই সূর্যকে যে করে আচ্ছাদন।
কসম ওই আকাশের যাহা তিনি বিছালেন
এবং বিস্তৃত ওই জমিন যা করেন।
কসম আরো মানুষের ওই আত্মার
সুঠাম আকৃতি দিয়ে গড়েছেন যার,
অতঃপর তিনি তাকে করেছেন দান
ভালো আর মন্দের যতকিছু জ্ঞান;
অবশ্যই সফলকামী হবে সেইজন
পরিশুদ্ধ নিজেকে যে করেছে এখন।
বিফলকামী হয়েছে সেই লোকই আর
কলুষিত হয়েছে নিজে করে পাপাচার।
সামুদ জাতি নামে ছিল যাহারা,
অবাধ্য থাকিয়া কিছুই মানেনি তারা।
তাদের মাঝের বড়ই হতভাগা জন
উটকে করিতে বধ তৎপর তখন।
আল্লার রাসুল বলে হতে সাবধান
উষ্ট্রির ব্যাপারে পানি করাইতে পান।
কিন্তু মানে না তারা অবিশ্বাস নিয়া,
সে কারণে উষ্ট্রিকে ফেলে বধ করিয়া;
রব সেজন্য তাদের পাপের কারণ
গজব তাদের উপর করিলেন প্রেরণ।
ধ্বংসের পরোয়া কোন নাই আল্লার
পরিণাম কেমন হলো আশঙ্কা তাঁর। ।
[ উষ্ট্রি = Female Camel ]
এমপিথ্রি ডাউনলোড করুন:এখান থেকে
পূর্ববর্তী পোস্ট: View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।