দূর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রিরা হুশিয়ার।
আমার মা উলঙ্গ হয়ে আমার কাছে বিচার চাইছে-
বাছা, আমার পরনের কাপড় ওরা খুলে নিয়েছে, তুই এর বিচার কর।
মাকে উলঙ্গ রেখে আমি-
দাত মাজি, খাই-দাই, বিয়ে অনুষ্ঠানে আনন্দ করি,
নানা মিনিংয়ে নানাজনের সাথে নানা সমস্যার সমাধান করি।
মা আমার উলঙ্গ হয়ে আমার সাজানো ড্রাইনিং এর পাশে বিচারের দাবি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি আয়েশ করে গরুর সিনার মাংসের জাড় চিবাই।
আমার মা বিচারের আর্জি নিয়ে আমার ড্রইং রুমের কোনে দাড়িয়ে আছে..
তবে উরু বেয়ে ধর্ষণের রক্ত গড়িয়ে হাটু অবদি গিয়ে শুকিয়ে গেছে।
বাছা, তুই বিচার কর। চেয়ে দেখ অফিসার বাছা আমা, তুই বিশ্বাস করবি না আমি এই রক্ত ধুইনি।
পাছে আবার তুই প্রমাণ চেয়ে বসিস- আমি যে ধর্ষিত হয়েছি তার প্রমাণ কি?
আমার সময় নেই।
বউকে সৌজন্য-চুমু দিয়ে টাইয়ের নটটা ঠিক করতে করতে
ধর্ষিত মাকে বারান্দায় দাড় করিয়ে দিয়ে আমি গাড়িতে গিয়ে উঠি।
আজ খুশির বন্যা আমার ঘরে,
আজ আমি বাংলাদেশের এক নম্বর মানুষ,
আজ আমার চাহিদা আর বাংলাদেশের চাহিদা এক।
আজ ফুলের ভরে আমি ন্যুজ,
আজ সারা বাংলাদেশ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আজ সারা পৃথিবী আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
আজ আমি বাংলাদেশকে নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিব।
আজ আমি বাংলাদেশের এক নতুন মডের সবার সামনে তুলে ধরব।
আজ সবাই আগ্রহের অতিসহ্যে ফেটে পড়েছে।
অনেক জ্ঞানী, অধ্যাপক, ব্যরিষ্টার, অর্থনীতিবিদ, মন্ত্রী, লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ, মেজর জেনারেল, আমলা, রাষ্ট্রদূত- আমার সাছে আছে, তাকিয়ে আছে।
আমি নতুন বাংলাদেশের মডেল উম্মোচন করছি।
দেখুন সবাই-
আমার মা উম্মুক্ত মঞ্চে দাড়িয়ে আছে।
মা' র তলপেটের নিচের কেশে পাকিস্তানী সেনাদের বির্য লেগে আছে।
মা' র বাম স্তনের বোটায় ঘা ধরে গেছে।
মা' র ডান উরুতে শুকনো রক্ত।
আমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি।
বাংলাদেশের মডেল আজ কথা বলে উঠেছে।
পুত্র, তুই প্রমাণের অভাবে বিচার করতে পারবি না বলে আজ ৩৮ বছর আমি কিছুই মুছিনি।
আমাকে ধর্ষনের বিচার করতে তোর আরো প্রমাণ লাগবে?
তাহলে আমি শুই, তুই পাকিস্তানি আর্মি সাজ।
আমি দেখাই কিভাবে তারা আমাকে ধর্ষণ করেছিল।
আয় উঠে আয়!!!!!!
ফেইসবুকে THE LIST OF RAJAKERS OF BANGLADESH গ্রুপে এই কবিতাটা দিয়েছিল এক বন্ধু। কিন্তু কবিতাটির নাম আর লেখক সম্পর্কে কোন ধারনা পেলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।