বখাটেদের অত্যাচারে ২ মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছেনা রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী মারুফা খাতুন। বরং উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করতে গিয়ে উল্টো ফাঁড়ি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে মেয়ের বাবা ও ভাই। পুলিশের এমন ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। মুণ্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়িতে আজ রোববার এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মুণ্ডুমালা পৌর
এলাকার জোতগোরিব গ্রামের শাহ আলমের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে মারুফা খাতুনকে একই গ্রামের এমদাদ হোসেনের বখাটে ছেলে রয়েল (২৪) প্রায় ২ বছর ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে।
স্কুলে যাওয়ার সময় মারুফাকে সে কুপ্রস্তাব থেকে শুরু করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করে। গত ২ মাস ধরে তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় মারুফার। সে উপজেলার জুমারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইউরেকা বেগম শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, শুধু একজন বখাটে যুবকের কারণে মেধাবী ছাত্রী মারুফা গত দুই মাস ধরে স্কুলে আসতে পারছেনা। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে আর হয়নি।
এদিকে আজ রোববার দুপুরে মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের পুকুরে থালা-বাসন পরিষ্কার করতে গেলে লম্পট রয়েল পিছন থেকে তার জামা ও ওড়না টেনে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। নিজেকে বাঁচাতে মারুফা চিৎকার দিলে রয়েল তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা শাহ আলম, ভাই শরিফুল ইসলাম লম্পট রয়েলের কাছে প্রতিবাদ করে। এ সময় রয়েল ও তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে চতুর রয়েল নিজেই আহত হওয়ার ভান করে তানোর উপজেলা ¯^v¯’¨ কেন্দ্রে ভর্তি হয়।
এদিকে, মেয়ের বাবা ও ভাই বিকেলে মুণ্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে আসলে পুলিশ উল্টো তাদের পিতা-পুত্রকে থানায় আটকে রাখে। পুলিশ জানায়, আটককৃত দুই জনের নামে মারামারির মামলা হয়েছে। থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বখাটে রয়েলের পিতা এমদাদ হোসেন। পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে গিয়ে মারুফার বাবা ও ভাইয়ের আটকের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে মুণ্ডুমালা ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আনিস শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, রয়েলের পিতা আগে মামলা দায়ের করায় পিতা-পুত্রকে আটক করা হয়েছে।
তারা রয়েলকে পিটিয়ে আহত করেছে। পরে মামলা করতে আসায় তাদের মামলা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান। তবে এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এসএম রোকনউদ্দিন বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। দুইমাস ধরে ইভটিজিং করা হলেও কাউকে জানানো হয়নি। স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এটি একটি নাটক হতে পারে।
এ বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে তিনি জানান
ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করতে এসে আটক হলো পিতা-পুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।