আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিংয়ের অভিযোগে বরখাস্ত হলেন পুলিশ কনস্টেবল

সত্যের সাথে সুন্দরের পথে

ইভটিজিং !!! এই সমস্যাটি বাংলাদেশে ইদানিং প্রকট আকার ধারণ করছে। কোন বাবা মা-ই এখন তার মেয়েটিকে স্কুল-কলেজ কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না। বখাটে ছেলেদের উৎপাতে স্বস্তির নি;শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সবার। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের প্রায় সর্বত্র সরকারী দলের ছাত্রসংগঠনের সোনার ছেলেরা লুণ্ঠন করছে মা-বোনদের ইজ্জত-আব্রু। ক'দিন আগে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, এক প্রতিমন্ত্রীর ছেলে বলেছেন : ঘুরব, ইভটিজিং করব, মজা করব-কেউ প্রতিবাদ করলে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেব।

কী সুন্দর উচ্চারণ ! ক্ষমতার দাপট বলে কথা! মূলত: বাল্যকাল থেকে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রশিক্ষণ না পাওয়াই হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের বখে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া আমাদের সামাজিক অবকাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থাও এর জন্য কম দায়ী নয়। আকাশ সংস্কৃতির সয়লাবকেও দায়ী করেছেন বিশিষ্টজনেরা। যা-ই হোক, এসব অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আ্যাকশন নেয়ার জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্ক্ষলা বাহিনী রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেরাই যদি এ ধরণের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আমাদের দু:খ রাখার আর জায়গা কোথায়! বেড়ায় ক্ষেত খেলে যা হয় আর কি! এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জে।

গতকাল সোমবার শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের ২য় বর্ষের এক ছাত্রী আবদুল কাইয়ূম নামক ঐ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করলে সে ছাত্রদের হাতে গণপিটুনির স্বীকার হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পর আবদুল কাইয়ূমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার কুদ্দুস আমীন। তবে বাংলাদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে নৈতিক পদস্খলনের অভিযোগ কোন নতুন ঘটনা নয়। ঘুষ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ নানা ধরণের অস্বাভাবিক কাজই স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে পুলিশের হাতে।

এভাবে চলতে থাকলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরো দ্বিগুণ-ত্রিগুণ হারে বাড়বে বৈ কমবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি, যেদিন সমাজের প্রতিটি মানুষের চরিত্রই প্রস্ফুটিত ফুলের মত সুরভী ছড়াবে। বাংলাদেশ হবে বাসযোগ্য ও শান্তিময়। ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.