আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আজ শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধানে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে আজ আলোচনায় বসছেন। বিকাল ৫টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করতে চাই। আশা করি এর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে পদত্যাগ দাবি করে গত বুধবার থেকে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। উপাচার্যের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ, শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার বিচার না হওয়াসহ মোট ১২ দফা দাবিতে তারা এ আন্দোলন করছেন। একই দাবিতে 'সাধারণ শিক্ষক ফোরাম'র ব্যানারে তারা আজ থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সর্বাত্দক ধর্মঘট ডেকেছেন। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন সচল করতে আচার্যের দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় আজ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নামবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন এবং আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাতেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে গভীর সংকটে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকট নিরসনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আবদুল হামিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে আচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আন্দোলনরত 'সাধারণ শিক্ষক ফোরাম', 'সাধারণ শিক্ষক পর্ষদ', 'শিক্ষক মঞ্চ' ও 'সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টও'।

এদিকে টানা ৩ দিন অবরুদ্ধ থেকেও হাল ছাড়তে রাজি নন অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। পদত্যাগের দাবি অযৌক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদত্যাগই সব সমস্যার সমাধান নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অবহিত করে একটি পত্র পাঠিয়েছি। রাষ্ট্রপতি যা সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মেনে নিব। শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান সিমান্ত বলেন, বারবার বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে সেশন জট সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। এই সমস্যা সমাধানে আমারা রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.