যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
বঙ্গোপসাগরে, বিশেষ করে নোয়াখালী ও সুন্দরবন উপকূলে এবং চাঁদপুরের মেঘনায় জলদস্যুদের উৎপাত দীর্ঘ দিনের সমস্যা। কার্যকর ভাবে সমস্যাটি মোকাবিলা করা যাচ্ছে না কেন? দরিদ্র জেলেরা আর কত জীবন দেবে? আর কত ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হবে?
ইউএনবি কানেক্ট, কালাদান প্রেস এবং অনলাইন মিডিয়া সর্ভিসের (ওএমএস) খবরে বলা হয়, কক্সবাজারে ১০ জুন ২০১০ জলদস্যুদের হাতে অপহৃত হবার পর ১৬ জন জেলে আজ পর্যন্ত নিখোজ রয়েছেন। এই ঘটনায় জলদস্যুরা ২০ লক্ষ টাকার জাল, নৌকা ও অন্যান্য মালামাল লুঠ করেছে।
জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সংকলন ও বিশ্লেশন করে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টনারশীপ সেন্টার (বিডিপিসি) দেখেছে ২০০৬-০৭ সালে এক বছরে জলদস্যুদের হাতে ১৭ জেলে নিহত হয়েছিল।
২৫৩ জন বিভিন্ন সময়ে অপহৃত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩২ জন ২০০৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিখোজ ছিল (তারা মৃত বলে স্বজনরা ধরে নিয়েছিল)। একই সময়ে কয়েক কোটি টাকার মাছ, মাছ ধরার জাল এবং নৌকা জলদস্যুরা ছিনিয়ে নিয়েছিল।
সিডর পরবর্তী সময়ে বাগেরহাট ও পিরোজপুরের সমূদ্রগামী জেলেরা জানিয়েছিল জলদস্যুদের নিয়মিত চাঁদা না দিয়ে তাদের পক্ষে মাছ ধরা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
সরকার মাঝে মাঝে কিছু লোককে জলদস্যু সন্দেহে গ্রেপ্তার করলেও, জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি।
সম্প্রতি সমূদ্রে মাছ ধরার মৌসুম আসার সাথে সাথে ইত্তেফাক, যুগান্তর, প্রথম আলোসহ জাতীয় পত্রপত্রিকায়
জলদস্যুদের উপদ্রবের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরআবাবিল ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের প্রায় ছয় হাজার জেলে জলদস্যুদের কারণে নিয়মিত মছি ধরতে পারছেন না। এবছর ইলিশ মৌসুম শুরু হবার পর এর মধ্যেই তাদের উপর ৩১টি হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। (প্রথম আলো ২৫.০৬.২০১০)
খবরে প্রকাশ, এ ব্যাপারে মেঘনা নদী এলাকায় অবস্থিত হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এনামুল কাজল বলেন, স্পিডবোড বা নৌযান না থাকায় নদীতে টহল দেওয়া যায় না। এ কারণে নদীতে জলদস্যুদের রোধ করা যাচ্ছে না। (প্রথম আলো ২৫.০৬.২০১০)
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য গতানুগতিক।
উপকুল এলাকায় এলাকায় নৌ-পুলিশের কয়েকটি থানা ও ফাড়িঁ স্থাপন করা হলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না। তাদের একই কথা, স্পীডবোট নাই, নৌযান নাই, লোকবল নাই, ইত্যাদি। এ কথা পত্রিকার সংবাদেও এসেছে।
স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সকল নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। দরিদ্র জেলেরা আর কত জীবন দেবে? আর কত ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।