এইসব ভালো লাগে...
গত কয়েকদিন ধরে মনটা খুব খারাপ।
খুবি ব্যক্তিগত কারণেই মন আগে থেকেই ভাল যাচ্ছিলনা। তার উপর ০৯ ব্যাচের সম্রাটের আকস্মিক মৃত্যু, বেগুনবাড়িতে ভবন ধস, হেলে পড়া, নিমতলিতে অসংখ্য মানুষের যণত্রনাদায়ক মৃত্যু এগুলো দেখে মনে হল আমার দুঃখ কিছুই না, মানুষের কষ্ট অনেক অনেক অনেক বেশি। আল্লাহ অনেক ভাল রেখেছেন। আরো কি কি যে দেখতে হবে এই দুচোখ মুদবার আগে আল্লাহ ই জানেন।
নিমতলিতে যেদিন আগুন লাগে সেদিন সন্ধ্যায় খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। আম পাঠিয়েছেন আব্বা, আনতে সেই বৃষ্টির মধ্যে বের হলাম। হলে আসার পথে চাঙ্খারপুলে দেখি বন্যা হয়ে গেছে। কি আজব এই শহর। কত পরিকল্পনাহীনতা সমন্বয়হীনতা এর মাঝে।
হলে পৌছে ডাইনিং করে একটু বের হচ্ছি দেখি আমার ফ্রেন্ড ও ক্লাস্মেট জাফরুল হাজির। খালি গায়ে, লুঙ্গি পরে ও খালি পায়ে। ওর থেকেই খবর পেলাম ভয়াবহ আগুন লেগেছে। ওর বাসার পাশেরই ৬ তলায়। বেচারা ওইভাবেই পালিয়ে এসেছে।
ওর বাবা ওকে বলতে গেলে লাত্থি মেরেই বের করেছে ওকে। বাবা মা সন্তানকে কতটা ভালবাসেন যে নিজেদের পরোয়া করেননা। অইদিন রাতেই ভয়াবহতা টের পেলাম, মৃত্যুর সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গেল। আজ আবার শুনি শান্তিনগরে কঙ্কর্ড এর ২১ তলা হেলে গেছে। দুইতিন ইঞ্চি ফাটল ও ধরা পড়েছে।
আরামবাগ এলাকায় নাকি গ্যাস পাইপ ফেটে গ্যাস বের হচ্ছে, রাস্তাও ফেটে গেছে। কদিন আগে আহসানুল্লাহ হলের রাস্তায় হঠাত ই ফাটল দেখলাম। কেন জানি মনে হচ্ছে হয়তবা ভুগর্ভস্থ পানি ব্যাপক হারে উত্তলনের কারনে এমন হচ্ছে। এতে পানির এক্যুইফারগুলো ফাকা রয়ে যাচ্ছে। উপরের চাপ সহ্য করতে না পেরে মাটি বসে গিয়ে এভাবে রাস্তা ফেটে যাচ্ছে।
যদিও বেগুনবাড়ীর ব্যাপারটা সবারজানাই আছে। ওখানে খাল দখল করে মাটি ভরাট করে দুড়দ্দাড় বিল্ডিং তোলা হয়েছে। সঠিক এনালাইসিস না করে বানানো বিল্ডিং মালিক, ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের দের শাস্তি দেওয়া উচিত। একটা ৬ স্কেলের ভুমিকম্প হলে ঢাকার হাল যে কি হবে তার একটা নমুনা তো স্বয়ং স্রষ্টা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আমাদের। আমরা কি আদৌ নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।