আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বোধের ভাবনা..........



খুব বেশি পন্ডিত নই আমি পরিসংখ্যান এর ব্যাপাড়ে। অঙ্কে খুব একটা ভাল ছিলাম না,তা বলতে পারি। কিন্তু এইটা বুঝি এখন,যে কোন ব্যাপাড়ে পরিসংখ্যানগত কোন তথ্য দরকার হলে তা যেন নির্ভুল এবং স্বচ্ছ হয় তা মনে হয় যে কেউই স্বিকার করবেন। কিন্তু হাস্যকর কাহীনি হলো আমাদের সরকারি পরিসংখ্যান বিভাগও নাকি ভুল করে! অবশ্য তারা এ ব্যাপাড়ে তাদের ভুল হিসেবে কি বলেছে তা তো আর আমি বলতে পারবোনা,তবে এইটা ভেবে ভাল লেগেছে যে কৃষি মন্ত্রী এই ব্যাপাড়টা ধরতে পেরেছেন বলে। আমার কেন জানি মনে হয় সব মন্ত্রনালয়গুলোকেই এই পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপরে একটু কম আস্থা রাখলেই মনে হয় ভাল হয়।

হয় তাদের কে আরও আধুনিক এবং আরও দক্ষ লোকবল বাড়ানো হোক সর্বপরি তাদের দেয়া পরিসংখ্যান আরো একটু যাচাই করে নেয়াই ভাল হবে বলে কেন জানি আমার মনে হয়। খাতা-কলমে যা আর বাস্তবে যদি এর ব্যাত্যয় ঘটে তাহলে মনে হয় কাজের অসুবিধা বৈ সুবিধা হয় না,তা যে কেউই স্বিকার করবেন তা একটা সহজ কথা। আমার ভাবনা বাজেট নিয়ে,যে বাজেট আমরা দেখি এবং শুনি। এইসব বাজেটের কাজ-কারবার করবে তো সব ভাল ভাল লোক এবং অভিজ্ঞ লোক,তা ঠিক আছে। কিন্তু প্রয়োগ বা কার্য সম্পন্ন ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না,তা আসলে কে দেখে আমি ভেবে পাই না।

অবশ্য আমার ভাবা না ভাবা কারও কিছু আসবে-যাবে না তা আমি জানি। কেউ কি খেয়াল করেছেন কি না ব্যাপাড়টি যে আমাদের দেশেই মনে হয় তা ঘটে বৃষ্টির সময়টাতে কাজগুলো মানে উন্নয়ন কাজগুলো বিশেষ করে ঢাকা শহরের কাজগুলো সম্পন্ন করতে দেখা যায়। আর এই ব্যাপাড়গুলোতে কি সিটি কর্পোরেশন কি ঠিকাদার কি সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোও মনে হয় আগ্রহি থাকে করার জন্য। আর এর কয়েকটি কারন হচ্ছে আর কিছুই না, ১}কাজটি যেন কোনমতে শেষ করা যায়,যার দির্ঘস্থায়ীত্ব যেন আগামী বাজেটের আগেই ভঙ্গুর অবস্থায় পাওয়া যায়(আর তাতেই নতুন করে সিটি কর্পোরেশনের বাজেট শেষ করার একটা উপায় পাওয়া যায়। ) ২}সরকারী কাজের যে বিল তা পাওয়া যায় সাধারনত জুন মাসেই,আর তাই সবাই টাকা লগ্নি করে বসে যেন না থাকতে হয় সে কারনেই জুনের হয়ত দুই-তিন মাস আগে সর্বোচ্চ কাজটা শুরু করে।

হয়ত তার কার্যকলাপ আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো করে তার হয়ত কিছু আগে। ৩}আমি যতটুকু জানি,যে কোন ব্যাঙ্কই মনে হয় ঠিকাদারদের ঋন প্রদান থেকে বিরত বা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রেখেছে। তাই তারা আর্থিক লেনদেনের স্বল্প সময়ের লগ্নি করতেই আগ্রহি হয় বেশি। ৪}রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সবজায়গায়,যা একপ্রকার নগ্ন ভাবেই দিনের পর দিন ঘটছে। এরকম আরও উদাহরন মনে হয় বিশেষজ্ঞ মাত্রই দিতে পারবেন,যার জন্য আসলে কাজগূলো স্থায়ী হয় না।

আর সহজ ভাবে এই কারনগূলোর জন্যই অনিয়মের পাল্লা ভারি হয় বলে কেন জানি আমার মনে হয়। । আমার দৃষ্টিতে মনে হয় পুরো বাজেট আর বাজেট এর বাস্তবায়ন আমাদের জন্যই যেহেতু করা সব কিছুই কেন সঠিকভাবে সর্বপরি সঠিক সময়ে করা হবে না,তা নিয়েই আমার যত প্রশ্ন আসে মনে। আবার মাঝে মাঝে শুনি যে উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন করা হয় নাই দেখে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরৎ যায়। কি আজব কথা! এ ব্যাপাড়ে আমার কথা হচ্ছে সহজভাবে ওই পরিসঙ্খ্যান ব্যুরো যে তথ্য দিবে অথবা যে সংশ্লিষ্ট অফিস এই ব্যাপাড়্গুলোয় সরকারকে সহযোগিতা করে কার্যপ্রনালী ঠিক করতে,তারা যেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিক এবং সময়পোযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

আর সরকারও যেন এই ব্যাপাড়গুলোতে কোন ছাড় না দেয় সঠিক এবং সঠিক তথ্যগ্রহন এবং প্রদানে। যা সরকারেরই বাজেট বাস্তবায়নে মনে হয় অনেক সুবিধা বৈ অসুবিধা হবে না বলেই কেন জানি আমার মনে হয়। আর পরিকল্পনা গ্রহনের আগে সাধারন ভাবে একটু যাচাই-বাছাই করে বাস্তবতার নিরিখে সব কিছু করলেই মনে হয় ভাল। আর যদি তা না হয়- তাহলে আপনার আমার পথচলার রাস্তা ভাঙ্গবে-গড়বে। আপনার আমার শহর নষ্ট হবে আবার ঠিকই হবে।

আপনার আমার দেশ এর উন্নতি হবে আবার অবনতি ঘটবে। এই ভাঙ্গা-গড়ার নিয়মেই আমরা আমজনতারা থাকবো। ওয়াশিং মেশিনে যেরকম কাপড় দলাই-মোচরাই করে কাপড় পরিস্কার করা হয়,সে রকম ভাবে আমাদের ওয়াশ করবে সব উন্নয়নের জোয়ারে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত লোকজনেরা। আর ঐ খারাপ সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা ফুলে-ফেপে হবে রাজা আর মহারাজা। যেমনটি দেখেছিলাম একজন সরকারি অফিসের ড্রাইভারের ৫তলা বাড়ি থাকে।

আর জিপিও তে চাকুরি করা একজন লোকের অবৈধ বাড়ি থাকে,সেই বাড়ির কারনে ২৫জন নিম্নবিত্ত মানুষ চলে যায় পরপারে। তা কি আসলে মেনে নেয়া যায়,না যাবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.