শিক্ষাই হল জাতি
অকল্পনীয় বিশাল এক ব্ল্যাক হোল অসম্ভব দু্রত গতিতে ছিটকে পড়তে পারে নিজের কক্ষপথ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘চন্দ্র’ মহাকাশ এক্স-রে অবজারভেটরি সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এরকম আভাস পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এ ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দলের গবেষণালব্ধ এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রনোমিক্যাল সোসাইটির মাসিক পত্রিকা দ্য মান্থলি নোটিসেস-এ। অবশ্য ওই পর্যবেক্ষণের অন্য ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
সূত্র বিবিসি
সাধারণত প্রত্যেকটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি করে অকল্পনীয় বিশাল ব্ল্যাক হোল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় একশ’ কোটি সূর্যের সমপরিমাণ ভরের পদার্থ। আর এসব বস্তু বা পদার্থ ধীরে ধীরে এমন একপর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে যাতে কল্পনারও অতীত এক প্রলয়ঙ্করী বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে ব্ল্যাক হোলের ছিটকে পড়ার ব্যাপারটা ঘটতে পারে।
গবেষকরা মনে করছেন, সম্ভাব্য এই ব্যাপারটি ঘটতে পারে ওই গ্যালাক্সিতে তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রতর দুটি ব্ল্যাক হোলের সংযোগের কারণে। এই দুটি ব্ল্যাক হোলের একীভূত হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন জোতির্বিজ্ঞানীরা।
তবে এর বিকল্প ব্যাখ্যাও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, যে উজ্জ্বল এক্স-রে রশ্মি দেখে এই ব্যাখ্যা, সেটা একটা সুপারনোভাও হতে পারে; অথবা হতে পারে একটা আল্ট্রা-ল্যুমিনিয়াস (অতি উজ্জ্বল) এক্স-রে। অত্যুজ্জ্বল আলোর কারসাজিতে দৃষ্টিবিভ্রম ঘটতে পারে, বুদ্ধি বিভ্রান্ত হতে পারে।
সে যা-ই হোক, প্রথম তথ্যটিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সুপার কম্পিউটারের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, দুটো ব্ল্যাক হোলের সংযোগ ঘটলে বড়টি ছোটটিকে গ্রাস করে নেবে এবং এরপর অপার্থিব এক বিলোড়নের ফলে ছিটকে যাবে নিজ গ্যালাক্সি থেকে।
তবে এটাও নির্ভর করছে ব্ল্যাক হোল দুটির গতি ও অবস্থানের ওপর। সংঘর্ষের আগে ওই দুটি বিষয় তাদের ওপর কাজ করবে।
এই সংঘর্ষের সম্ভাবনা আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন ‘চন্দ্র’ মহাকাশ অবজারভেটরি সংগৃহীত আলোক সম্পর্কিত লক্ষ-কোটি তথ্য, অসংখ্য গ্যালাক্সির অবস্থান- সংকলিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।