অস্ট্রেলিয়া ৬ নিয়ে নাহয় পরের লেখাটি লিখব। কিন্তু এই মুহুর্তটির অনুভূতি টি লিখতে ইচ্ছে করল।
সিংগাপুরে আমার সকাল হয় ৭। ৩০শে। অনেক দিনের অভ্যেস।
আজ সকালেও ঘুম ভেংগেছে আমার সময় সকাল ৭। ৩০শে। ঘুম ভাংতেই যেন কোথও কোন শব্দ নেই.....। ভোরের আলো পর্দার ফাক গলে আমার চোখে আসছেনা। ঘটনা বুঝতে কয়েক মিনিট লাগল....... আমি ঢাকায়! - অনুভুতিটা অসাধারন লাগলো!!!!! আলো এখনো তাই ফোটেনি।
লোকাল টাইম সকাল ৫। ৩০
আরেকটা ঘুম দেবার ব্যর্থ চেস্টা চালালাম কয়েক মিনিট। তারপর বেলকনির দরজাটা খুলে বাইরে পা দিতেই কিযে ভাল লাগলো এই ভোর!!! মেঘে ঢাকা ভোর!! শুনশান, গারির শব্দ এখনো শুরু হয়নি। কিছু কিছু স্বাস্থ সচেতন নগরবাসি সকাল ভ্রমনে বের হয়েছেন। অসাধারন ভাল লাগা ৬য় তলার বেলকনি থেকে ভোরের ঢাকাকে দেখতে, ভোরের গন্ধ নিতে, ভোরের কাক ডাকা মুহূর্তটি গায়ে মাখতে।
চোখে পানি এসে যাবার মত ভাল লাগা। গা রিমঝিম কারার মত ভাল লাগা !!
এবারই প্রথম ঢাকায় পৌছালাম দুপুর বেলা। আগে যতবার এসেছি রাতে পৌছেছি, রাতে ঢাকা ছেড়েছি। প্লেন থেকে দিনের ঢাকা আমার আগে কখনও দেখা হয়নি ফ্লাইট টাইমের জন্য। আকাশ থেকে ঢাকাকে চোখে পরতেই আমি যেন পাশে বসা ৩ বছরের সহযাত্রিনিটির চাইতেও ছোট্ট হয়ে গেলাম।
আনন্দে জানালা দিয়ে উকি মেরে যেন সবটুকু দেখে ফেলতে চাই। ঢাকা এয়ারপোর্ট টি দিনের আলোয় দেখলাম। অসাধারান কিছুনা তবু ভাল লাগলো। এয়ারপোর্ট থেকে শহরের পথে পথের দুপাশ কি চমৎকার করে সাজানো!! গত ৭ বছরে অনেক পরিবর্তন চোখে পরল যা আগে কখনও দিখিনি গত কয়েক বার যখন ঢাকা এসেছি অন্ধকারের জন্য। আমার সব কিছু এত এত ভাল লাগল!!!!!! এমনকি ওয়েদার ও! অনেক কম গরম সিংগাপুরের বর্তমান ওয়েদারের চাইতে।
খুব অসুস্থ অবস্থায় ফ্লাই করেছিলাম সিংগাপুর থেকে। এখানে এসে আমি যেন পুরো সুস্থ!! পরন্ত দুপুরের ঢাকা আমাকে স্বাগতম জানালো!! যেন ঘরের মেয়ে ঘরে এসেছে বলে দুপুরের রোদ্দুর আমার গায়ে আদর মাখিয়ে দিল। কি যে ভাল লাগা সর্বত্র....!!!
সন্ধেয় কাজের একটা মিটিং ছিল। সেটা সারবার পরে বন্ধু এসে স্টার কাবাবে ডিনার করাতে নিয়ে গেল। অসাধারন রান্না আর খাবার!! পাবদা মাছের ঝোল আর ডাল দিয়ে হাভাতের মত ভাত খেলাম।
সবাই আমার খাওয়া দেখছিল। :. যেন শত শত বছর ঐ অমৃত খাইনি। ওয়েটার আমার খাওয়ার বহর দেখে ১০ বার এসে জিঙ্গেস করল "আর কিছু লাগবে?" বন্ধু বলে "কিরে জীবনে পাবদা মাছ দিয়ে ভাত খাসনি নাকি। " কত শত বছর পরে যেন পেট ভড়ে ভাত খেলাম।
ডিনারের পরে ধাবায় গেলাম দই বড়া কিনবার জন্য।
কেনার আগেই আমার জিভ ভিজে একাকার। আহা কত কত রাত ঘুম ভেঙ্গে ধাবার দই বড়ার খিদে পেয়েছে । ঠিক করেছি যতদিন থাকব ঢাকায় রোজ ধাবার দই বড়া আর পাপড়ি চাট খাব।
এর পরে রিক্সা ভ্রমনে বের হয়ে বন্ধু আমাকে আমার ছোট্ট বেলার স্কুল বানানি বিদ্যানিকেতনে দেখাতে নিয়ে গেল ফেরার পথে। অনেক ভাল লাগা আর স্মৃতি মনে পড়ল।
ঢাকার রাতকে অনুবভ করতে করতে ঘরে ফেরা। এই আমার প্রথাম দিন ঢাকায়...!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।