আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেটে আর আগ্রহ নেই ইউসুফের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আর কোনো প্রত্যাশা নেই মোহাম্মদ ইউসুফের। ক্রিকেট থেকেও নিজেকে নিয়ে গেছেন অনেক দূরে। ক্রিকেট নাকি এখন আর তাঁর আগ্রহের বিষয় নয়। পাকিস্তান ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ক্রিকেটের প্রতি এতটাই বীতশ্রদ্ধ করে ফেলেছে দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটিকে।
২০১০ সালের পর দেশের হয়ে আর খেলেননি ইউসুফ।

দেশের হয়ে ৯০টি টেস্ট আর ২৮৮টি ওয়ানডে খেলা ইউসুফ নির্বাচক আর ক্রিকেট বোর্ডের অবহেলার শিকার সাড়ে তিন বছর ধরেই। ব্যাপারটি অসম্ভব পীড়া দেয় ইউসুফকে। কিন্তু তাঁর দেশে এটাই ‘রীতি’ বলে বাস্তবতাকে মেনে তিনি মেনে নিয়েছেন অবলীলাতেই।
মনের গহিনে একটা আশা তো ছিলই। দেশের হয়ে এত দিন খেলেছেন।

এত রান করেছেন, নেতৃত্বও দিয়েছেন। তাঁর মতো একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে একটু সম্মান আর মর্যাদার প্রত্যাশা অমূলক কিছু ছিল না। কিন্তু ইউসুফ এর কিছুই পাননি পাকিস্তানি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
নিজের ক্ষোভটাই তাই এই মুহূর্তে ক্রিকেটে অনাগ্রহী করে তুলেছে ইউসুফকে। তাঁর ক্ষোভের জায়গাটা খুব স্পষ্ট, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটে তাঁর অবদানের কথা বিবেচনা করে অন্তত তাঁর বিদায়টা সম্মানের হতে পারত।

ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে অন্তত এতটুকু সম্মান দিলেও দিতে পারত। ’
পাকিস্তান ক্রিকেটে এই ‘অসম্মানের সংস্কৃতি’টা বদলানো উচিত বলেই অভিমত তাঁর, ‘এটা খুব বাজে একটা ব্যাপার। এই দেশে অতীতে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারকেই অসম্মান নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। আমার ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়। আমার মতে, এটার পরিবর্তন দরকার।

মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু অন্তত দেওয়া দরকার। ’
মোটামুটি ভালো ফর্মে থেকেও তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হয়েছে। তিনি এমন সময় পাকিস্তান জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন যখন তাঁর চেয়ে ভালো ব্যাটসম্যানের অভাবই ছিল পাকিস্তান দলে। পুরো ব্যাপারটিই তাঁর কাছে খুব কষ্টদায়ক, ‘যে ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয় তা হলো ২০১০ সালে আমাকে যখন পাকিস্তান দল থেকে বাদ দেওয়া হলো, তখন নির্বাচক বলুন আর বোর্ড, কেউই আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলে অন্তত জানাতে পারত আমি কেন বাদ পড়েছি।

এমনকি তাঁরা আমাকে ডেকে এটাও বলে দিতে পারত, “অনেক দিন তো খেললে, এবার অবসরে যাও”। ’
নিজের অবস্থার জন্য ইউসুফের যাবতীয় ক্ষোভ ওয়াকার ইউনুসের প্রতি। তিনি বিশ্বাস করেন, ওয়াকারের কারণেই তিনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, ‘ওয়াকারকে আমি ক্ষমা করতে পারি না। সে আমার বাদ পড়ার পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল। কেবল আমি নই, ওয়াকার কোচ থাকার সময় তাঁর কারণেই বাদ পড়তে হয়েছে আবদুল রাজ্জাককে।

সে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা হতে পারে, কিন্তু তাঁর হাতে পাকিস্তান ক্রিকেট কিন্তু কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ’ সূত্র: পিটিআই।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।