কমিশনের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল রোববার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ আবেদন করেন।
এ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজাম্মেল হক আবেদনটি শুনে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেককে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘চিকিৎসার জন্য’ লন্ডনে যান তিনি।
পরোয়ানা জারির পর নিয়ম মাফিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও ঢাকার আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে পলাতক দেখিয়ে ২০১১ সালের ৮ অগাস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক সম্প্রতি বিএনপির এক দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন।
গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ওপর চাপ দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এরপর দেশে তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে যা যা দরকার, আদালত সবই করবে। ”
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের এ মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেকের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার বন্ধু মামুন অবৈধভাবে অর্থ নেন। মামুনের মাধ্যমে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেন তারেক রহমান। ওই অর্থের মধ্যে সিঙ্গাপুরের সিটিব্যাংক এনএর একটি শাখায় ওই মামুনের ব্যাংক হিসাবে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার জমা করা হয়।
রোববার এ মামলার দশম সাক্ষী সোনালী ব্যাংক ক্যান্টনমেন্ট কর্পোরেট শাখার কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ সরকারকে জেরা করেন আসামি মামুনের আইনজীবীরা।
বিচারক মামলার শুনানির জন্য ২৯ মে পরবর্তী দিন রেখেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।