সকল অন্ধকারের হোক অবসান
যুক্তরাষ্ট্রের ধমক ধামক গায়েই মাখেনি ইরান। পশ্চিমাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জ্বালানি ও চিকিৎসাসহ বিভিন্নকাজে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম পরিশোধন শুরু করেছে ইরান।
মঙ্গলবার নাতাঞ্জের পরমানু শোধনাগারে এই বিতর্কিত কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আল-আলম টেলিভিশনে আরো বলা হয়, শোধন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক পরমানু শক্তি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তেহরানের পক্ষ থেকে ইউরেনিয়াম শোধনের ঘোষণা আসার পরপরই নতুন অবরোধ চাপানোর কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
তাদের অভিযোগ ইরান পরমানু অস্ত্র তৈরীর জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। তবে এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করছে তেহরান। শতকরা ২০ ভাগ শোধনের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়ামকে বেসামরিক কাজে লাগানো হবে বলে দাবী করছে আহমাদিনেজাদ প্রশাসন।
এর আগে, সোমবার আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি সংস্থায় নিযুক্ত ইরানি প্রতিনিধি আলি-আসগর সুলতানিয়ে বলেন, ইরান মঙ্গলবার থেকে জ্বালানি তৈরীর কাজ শুরু করবে। এ বিষয়টি তেহরান জাতিসংঘের পরমানু বিষয়ক কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলো।
সুলতানিয়ে আরো বলেন, এই শোধনকৃত ইউরেনিয়াম মেডিক্যাল আইসোটোপ তৈরীর কাজেও ব্যবহৃত হবে। এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পরমানু বিষয়ক প্রধান আলি আকবর সালেহি নতুন দশটি পরমানু শোধনাগার তৈরীর পরিকল্পনা বিষয়ে কথা বলেন। যদিও নতুন দশটি শোধনাগার তৈরীর বিষয়টি পুরনোই।
ইউরেনিয়াম শোধন প্রক্রিয়া শুরু এবং আরো নতুন প্লান্ট তৈরীর ঘোষণায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইরান মধ্য আঙুল প্রদর্শন করে চলেছে। পশ্চিমা গোষ্ঠীকে এমন পরিস্থিতে একটু অসহায়ই লাগছে।
দেখা যাক, ইরানকে নিয়ে নতুন কী চাল চালে তারা? আর ইরান কী-ই বা জবাব দেয়!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।