আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পশ্চিমাদের জুজুর ভয় আল-কায়েদা মুসলিমদের কয় পয়সার কাজে লেগেছে??

জয় হোক নতুন প্রজন্মের, জয় বাংলা.......... ২ টাকার চিনাবাদামরা সুযোগ পেলেই আল-কায়েদা টাইপের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নিয়ে সাধারন মুসলিমদের একহাত নেয়। এরা লাদেনের নামের পিছনের বিশেষনগুলো ব্যবহার করে সেগুলো দেখলে কেনো জানি আমার গো আযমের কথা মনে পড়ে। ইসলামিস্ট, আল্লাহর পথের সৈনিক, জিহাদী ব্লা ব্লা ব্লা। কিন্তু আল-কায়েদা, লস্কর ই তৈয়এবা, হাক্কানী নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বের মুসলিমদের কি কাজে এসেছে?? কয়টা মুসলিমকে কে ওরা আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে?? কয়টা গরীব মুসলিম মেয়ের ওরা বিয়ে দিয়েছে?? কয়টা মুসলিম দেশ ওরা স্বাধীন করেছে?? কয়টা মুসলিম ওদের জন্য চাকরি পেয়েছে?? ফলাফল শূন্য। এইসব জংগি সংগঠন থেকে মুসলমানদের প্রাপ্তির খাতা শূন্য।

তাহলে এই আল-কায়েদার সুফল ভোগ করলো কারা?? আমার দৃষ্টিতে পশ্চিমারা। মূলত সারাবিশ্বে পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই এসব জঙ্গি সংগঠনগুলোর ভূমিকা অনেক। কিছু পয়েন্ট বলছি ভূল হলে বলবেন - ১। প্রথমে এই তালিবানরা আমেরিকার শত্রু রাশিয়ায় সাথে যুদ্ধ করে আফগানিস্তানকে রাশিয়া থেকে আলাদা করলো। স্নায়ুযুদ্ধে রাশিয়া আবারো আমেরিকার কাছে পরাজিত হলো যেটার মাধ্যম ছিলো এই তালিবানরা।

২। ৯০ এর দশকে এই আল-কায়েদারা বিভিন্ন মার্কিূন এম্বেসীতে বোমা হামলা করতো। ফলাফল ওই দেশে মার্কিন সৈন্যরা তাদের কূটনৈতিকদের রক্ষার অযুহাতে আজীবন ঘাটি বানিয়ে ফেলতো। মূসলমানদের তীর্থস্থান সৌদি-আরব এর সবচেয়ে বড় উদাহরন। ৩।

আমেরিকা চরম তেল সংকটে আছে এমন মূহুর্তে তারা টুইন-টাওয়ারে হামলা চালিয়ে আমিরকাকে তেল সংকট থেকে উত্তরনের চমতকার একটি উপায় বের করে দিলো। যদিও বিজ্ঞজনরা বলেন এই হামলা আমেরিকার সাজানো এবং এর পক্ষে বাস্তব প্রচুর যুক্তিও আছে। শুধু এই হামলার কারনে ইন্সুরেন্স থেকেই নাকি মার্কিন সরকার আয় করেছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। আরো অনেক যুক্তি আছে যেগুলো বল্লে পোস্ট লম্বা হয়ে যাবে। আশা করা যায় আগামী ১০০ বছরেও আমেরিকার তেল শেষ হবে না।

৪। সারাবিশ্বে মুসলিমদের ইমেজ সংকটের জন্য দায়ী আল-কায়েদা। আজকে উন্নত দেশগুলোতে মুসলিম স্টুডেন্টরা ভিসা জনিত সমস্যায় ভুগছে শুধু এই আল-কায়েদার জন্য। হিজাব পরতে বাধা দেয়া হচ্ছে, আমেরিকা সহ উন্নত দেশগুলোর স্থায়ী নাগরিকদের মাঝে মুসলমানদের সম্পর্কে বিরূপ ধারনা হয়েছে শুধু আল-কায়েদা টাইপের সংগঠনগুলোর জন্যে। ৫।

লিবিয়ায় মার্কিন ঘাটি ছিল না। আমেরিকার একটি অযুহাত দরকার ছিলো। নিজের প্রান দিয়ে ওই মার্কিন কর্মকর্তা আমেরিকাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। আল-কায়েদার অযুহাতে কয়েক ডেস্ট্রয়ার ভর্তি সৈন্য তার হত্যা তদন্ত করতে এখন লিবিয়া আস্তানা গেড়েছে। ৪ জন ব্যক্তির হত্যা তদন্ত করতে এত সৈন্য কি দরকার?? ৬।

লিবিয়া, সুদানসহ আরো ১৮টি দেশে মার্কিন কূটনৈতিকদের আল-কায়েদা থেকে রক্ষা করতে আমেরিকা সৈন্য প্রেরন করবে। ওবামা প্রশাসন আল-কায়েদাকে পুরস্কৃত করা উচিত এই সুবর্ন সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য। ৭। আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র কোম্পানিগুলো কত বিলিয়ন ডলার ইনকাম করেছে তা কল্পনাও করতে পারবেন না। ৮।

বুশকে ২য় বার ক্ষমতায় এনেছে এই আল-কায়েদা ইসু। ৯। যখনই ইঙ্গ-মার্কিন কোন ব্যক্তির মিডিয়ায় আসার প্রয়োজন পড়ে তখনই তিনি আল-কায়েদা কর্তৃক হুমকীপ্রাপ্ত হন। নাহলে ব্রিটিশ রাজপরিবারের কুলাঙ্গার পুত্র চকলেট প্রিন্স হ্যারিকে আল-কায়েদার হুমকী দেয়ার কি প্রয়োজন?? এই হ্যারির ২ পয়সার গুরত্ব নেই আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে। ১০।

এই আল-কায়েদা ইসুতে নিরাপত্তার অযুহাতে আমেরিকা আগামী ৫০ বছরে সবগুলো মুসলিম রাষ্ট্রে নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করবে। কেউ যদি আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠা নিয়ে জ্ঞাত না থাকেন দয়া করে গুগল সার্চ দিন। সম্পূর্ন মার্কিন সহায়তায় এ জঙ্গি প্রতিষ্ঠানটি তৈরী হয়েছে। ওসামা বিন লাদেন সরাসরি সিআইএ থেকে ট্রেনিং পেয়েছে। অবাক ব্যাপার হলো আল-কায়েদার শীর্ষ কমান্ডাররা ভার্জিনিয়ার ক্যাম্প পেরীতে সরাসরি সিআই্এর অধীনে ট্রেনিং পেয়েছে।

এই তথ্যটি পাবেন জন ক্লুনির বই "আনহোলি ওয়ারস্, আফগানিস্তান, আমেরিকা এন্ড ইন্টারন্যাশনাল টেরিরোসম" এ। আর কয়েকদিন আগেতো উইকিলিকস প্রকাশ করেছে যে খোদ পেন্টাগনে বসে আল-কায়েদার এক শীর্ষ কর্মকর্তা মার্কিন সরকারের সাথে সমঝোতা করেছে। এবার বলুন আল-কায়েদা মুসলমানদের কি উপকারে এসেছে এখন পর্যন্ত?? কিন্তু ওদের কারনে আজকে পুরো বিশ্বে মুসলমানরা অস্তিত্ত্ব সংকটে। এই ২টি লিংক পড়ুন পিলে চমকাবে - The CIA's "Operation Cyclone" How The CIA Helped Create Osama Bin Laden ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.