বসে আছি পথ চেয়ে....
একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিল আমেরিকা, চিন, পুরো মধ্যপ্রাচ্য। পঁচাত্তরে এদেশে যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করা হল তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও পশ্চিমা মানবাধিকার কর্মীদের কোনো দরদ দেখা যায় নি।
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান প্রহসনের বিচারে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলালেও পশ্চিমাবিশ্ব এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ২০০১ সালে সারা দেশে জামায়াত-বিএনপি জোট সংখ্যালঘু নির্যাতনের মহোৎসব চালালেও পশ্চিমা বিশ্বকে এ ব্যাপারে মাথা ঘামাতে দেখা যায় নি।
কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তারা এখন অতিমাত্রায় মানবতাবাদী হয়ে উঠেছে।
তারা জামায়াত-শিবিরের ওপর তথাকথিত ‘দমন-নির্যাতনের’ বিরুদ্ধে মায়াকান্না কাঁদতে শুরু করেছে। পশ্চিমা মিডিয়া এখন ‘জামায়াত-শিবিরের ওপর আক্রমণ’ দেখে, কিন্তু রাজপথে তাদের তান্ডব, জ্বালাওপোড়াও, গুলি, বোমাবাজি, পুলিশের ওপর আক্রমণ-এসব দেখে না।
জামায়াতি টাকার কাছে (তাদের নিযুক্ত লবিস্টদের কাছে) পশ্চিমা মিডিয়া, ইউএন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বিক্রি হয়ে গেছে। জামায়াতি টাকা এখন প্রতিদিনই পশ্চিমাদের মুখে কথা বলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার লড়াইটা আমাদের একই সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার স্টাবলিসমেন্টের বিরুদ্ধেও বটে।
আরেকটি কথা, ইংরেজিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখির পরিমাণ অত্যন্ত কম। ইন্টারনেটে সার্চ দিলে রাজাকারদের পক্ষে, তাদের যুক্তি-আদর্শ সমৃদ্ধ যত লেখা পাওয়া যায়, এই গণদুশমনদের অপতৎপরতা কথা, তাদের অপকর্মের কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে লেখালেখি সেই তুলনায় একেবারেই কম। যারা ইংরেজিতে ভাল লিখতে পারেন, তাদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত।
আমাদের লড়াইটাকে আমাদেরই এগিয়ে নিতে হবে। দেশব্যাপী, বিশ্বব্যাপী।
এ ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের সমর্থন পাওয়া যাবে না, এটা ধরে নিয়েই আমাদের পথ চলতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।