আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্মিত শহরের দৃশ্যকথা

শাফি সমুদ্র

চিরায়ত শস্য-ক্ষেত-কৃষকের উর্বর ভূমি আজীবন কাছে টানে, ডাকে। আর স্বপ্ন গাঁথি মননে। আহা! এমন তবে সাজিয়ে রাখো আমার পৃথিবী জুড়ে। নদী-জল-পাখি ও বাতাসকে অকাতরে ভালোবেসে মানুষেরা এক অবিনশ্বর পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে থাকে, স্বপ্ন ও বুননে এক শিল্পীর মতো। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরে মানুষ যুদ্ধ করছে প্রকৃতির বিরূপ আচরণের বিরুদ্ধে, জন্তু-জানোয়ারের হিংস্র আক্রমনকে প্রতিহত করার মাধ্যমে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা ও অস্তিত্ব রক্ষায় মানুষই নিজেকে সংগ্রামী করে তুলেছে।

সেই থেকে শুরু মানুষের সংগ্রামের বিভিন্ন স্তর। সময়ের বিবর্তনে, সভ্যতার বিকাশে মানুষের সেই সংগ্রামের রূপ বদল হয়েছে। জীবনের জন্য, জীবিকার জন্য, অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল-অপকৌশলে নিমজ্জিত থাকা এই মানুষের চিরায়ত স্বভাব। এমনি এক সংগ্রাম পৃথিবীর একজন মানবী ও একজন মানবকে হাজার হাজার বছর ধরে একই পথে হাঁটতে শিখিয়েছে। যা পৃথিবীর মানুষের এতোদিন জানার বাইরে ছিলো।

মেয়েটি ছেলেটিকে চেনে না। ছেলেটি মেয়েটিকে চেনে অথবা চেনেনা। ঠিক সকাল সাড়ে নয়টায় ঘড়ির কাঁটা এসে থামলে মেয়েটি রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায়। কিছু একটা খুঁজতে থাকে ধীর মনোযোগে। সেখানে কী খোঁজে আমাদের জানা নেই।

সেখানে কি লুকিয়ে আছে মেয়েটির অতীত উপখ্যান? ঠিক এ মুহূর্তে আমরা সেটা বলতে পারবো না। ছেলেটি একই সময়ে রাস্তার উল্টো পাশে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েটির হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি খোঁজা দ্যাখে। এ দৃশ্য ছেলেটি খুব অনুভব করে, আনন্দ পায়। হাসে। হাসতে হাসতে নিজের ভিতরে ফিরে আসে।

মানুষ কিছু হারিয়ে ফেললে তার জন্য কী ব্যাকুলই না থাকে। এটা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। মূলত মেয়েটি ছেলেটির কাছে যে যে কারণে অপরিচিত: ক. মেয়েটি ছেলেটিকে কখনোই দেখিনি। এ শহরে মেয়েটি এসেছে মাত্র একুশ দিন হলো। মেয়েটি কোথা থেকে এসেছে তা কেউ জানে না।

মেয়েটির সাথে যার কথা হয় মেয়েটি তাকেই বলে- ‘আমি তো এই শহরে প্রাচীন কাল থেকেই আছি। ’ খ. মাটিতে খোদাই করে মেয়েটি আঁকাবাঁকা নদীর চিত্র আঁকে। যে নদী একদিন মেয়েটির পায়ে প্রণাম করেছিলো। এই নদীর সাথে ছেলেটির নিবিড় সখ্যতা ছিলো। গ. মেয়েটির সোনালি চুলের আভায় এমন তেজস্ক্রিয়তা সে কখনো দেখেনি।

এমন চুলের ভিতরে যে স্পর্শ লুকিয়ে থাকে তা কোনদিন ছেলেটি উপভোগ করেনি। ছেলেটি যে কারণে মেয়েটিকে চিনে থাকবে। ক. ছেলেটি যে দূলটি পেয়েছিলো নদীর তীরে, হতে পারে সেটা এই মেয়েটির। কেননা হাজার হাজার বছর আগে হয়তো এই মেয়েটির সাথেই নদীঘাটে মিলন হয়েছিলো তার। মেয়েটি যখন ছেলেটির বুকে মাথা রেখেছিলো ঠিক তখনই তার জামার বোতামে মেয়েটির কানের দুল আটকে গিয়েছিলো।

খ. মেয়েটির কাঁধে যে ঝোলানো ব্যাগ সেটি স্পর্শ করলেই ছেলেটি অমরত্ব লাভ করবে এমনটি বলেছিলো কানের দুল হারানো মেয়েটি। গ. ছেলেটি অনেক অনেক বছর আগে এইখানে মেয়েটিকে একটি চুলের কাঁটা উপহার দিয়েছিলো। তখন মেয়েটি ঠিক যেভাবে চুল বাঁধতো, আজও সেই একইভাবে তর চুল বাঁধা আছে। ছেলেটি যেদিন থেকে এখানে মেয়েটিকে দেখলো, সেদিন থেকেও তার ভিতরে একটি পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তিত ছেলেটির ভিতরে মেয়েটির রোজ এই খুঁজে ফেরাকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলতে চায়।

আর মেয়েটি এতোদিন পরে ছেলেটিকে দেখলো কিংবা অনুবাদ করার চেষ্টা করলো। হঠাৎ প্রতিদিনের নিয়ম ভেঙে আজ উল্টো ব্যাপার ঘটে গেলো। মেয়েটি রাস্তা পার হয়ে এপারে চলে এসে ছেলেটির হাত স্পর্শ করলো। নেড়ে-চেড়ে দেখলো। কী দেখলো ছেলেটি বোঝেনি।

ছেলেটিও ফ্যাল ফ্যাল করে তার চুলের দিকে তাকাতেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। চোখের সব রঙ নিমিষেই নিভে গেলো। সে বুঝতে পারছেনা কেন এমনটি হলো। অনেক্ষণ থেকে হাতের তালুতে বিভিন্ন রেখা-উপরেখা দেখতে থাকে মেয়েটি। ছেলেটি দেখলো তার হাতে যে রেখাগুলো গতকালও ভেসে ছিলো আজ তা নেই।

মেয়েটি তার চোখ তুলে দেখলো ছেলেটির বিনম্র চোখ। সেদিন মেয়েটি চলে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো- ‘পূর্বজন্মে তুমিই আমাকে হত্যা করেছিলে। ’ ছেলেটি ফিরে যেতে চাইলো সেই পূর্বজন্মে। কিছু মনে করতে পারছেনা।

মাঝে মাঝে ঝাঁপসা হয়ে তার মাথার ভিতরে স্মৃতিগুলো খেলা করছে। কিছুদিনপর সে কিছু কিছু মনে করতে পারছে কিন্তু মেলাতে পারছে না। মনেপড়ে গেলো একটি উত্তাল নদীর তীরে সে প্রতিদিন আসতো। কাকে যেন কাছে পেতে চাইতো। আর কিছুই স্পষ্ট ভাবে মনে করতে পারছে না।

ছেলেটি তার তিনপূর্বজন্মের কিছু ঘটনা মনে করার চেষ্টা করছে। এবার কিভাবে যেন সব ঘটনা স্পষ্ট মনে পড়ছে। ছেলেটির প্রপিতা তাকে আর্শীবাদ করেছিলেন এবং একটা সর্বনাশের ভবিষ্যৎ বাণী করে গিয়েছিলেন যে, একজন প্রেমিক নারীই হবে তার হত্যাকারী। এটাও বলেছিলেন যে সে যদি ওই নারীকে একবার জলেডুবিয়ে হত্যা করতে পারে তবে সে অমরত্ব লাভ করবে। সঙ্গত কারণেই তারপর থেকে ছেলেটির সাথে যে মেয়েদের সম্পর্ক তৈরী হয় প্রত্যেককেই সে এই নদীর তীরে এসে হত্যা করতো।

কিন্তু ছেলেটি এখন সেগুলো বিশ্বাস করতে পারছেনা যে তার পক্ষে এগুলো সম্ভব ছিলো। মেয়েটি ছেলেটির হাতের রেখা-উপরেখাগুলো ঠিক ঠিক অনুবাদ করলো। পূর্বজন্মে এই মেয়েটি ওকেই ভালোবেসেছিলো এবং কাছে টেনে নিয়েছিলো। মেয়েটিকে তখন তার প্রপিতামহী জানিয়েছিলো একদিন একজন পুরুষের হাতেই তার মৃত্যু হবে। পুরুষটি সেই হবে মেয়েটি যাকে ভালোবাসবে।

মেয়েটিও সে ঝুঁকি গ্রহণ করেছিলো, কেননা সে বিশ্বাস করে ভালোবাসাহীন কোন মানুষ বাঁচতে পরেনা এবং ভালোবাসা দিয়েই জয় করা যায় এই ভূমণ্ডল-নভোমণ্ডল, পৃথিবী ও প্রকৃতি; সেখানে মানুষ নেহাতই সামান্য। ছেলেটি তার পূর্বজন্মে মেয়েটিকে ভালোবাসলো। মেয়েটিও তার ভলোবাসার আলিঙ্গনে জড়িয়ে পড়লো। দু’জনই চাঁদ ও সূর্য কে চিরোদিনের সঙ্গী ও স্বাক্ষী করে নিলো। তারা যা যা করতো এই দু’জনই তার স্বাক্ষি থাকতো।

একদিন মেয়েটি ছেলেটির কাছে দু’হাত পেতে তার দুঃখগুলো চাইলো, ছেলেটি তা উজাড় করে দিলো। তারপর সেই দুঃখগুলো ভাসিয়ে দিলো নদীর জলে। আজ যেখানে দাঁড়িয়ে মেয়েটি তার হারানো স্মৃতি খুঁজে ফেরে, ছেলেটি যেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েটির স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাওয়াকে অবলোকন করতে থাকে ঠিক এইখানে এমন প্রসস্ত রাস্তা সেদিন ছিলো না। এমন সুনশান নিবিড় পথও ছিলো না। এতো মানুষের পদাচারণায় মুখরিতও ছিলোনা।

ঠিক এইখানেই ছিলো একটা স্রোতস্বীনি নদী। নদীর নাম হরিহর। তুমুল ঢেউ আছড়ে পড়তো কুলে-উপকূলে। অসংখ্য মানুষের স্বপ্ন নির্মান করেছিলো এই হরিহর, আর মানুষেরা যুগে যুগে সেই স্বপ্ন প্রস্তুতকারক হরিহর কে হত্যা করে তার বুকে রেখেছে লালসার পদচিহ্ন। অথচ এই নদী কখনো মানুষদেরকে অভিশাপ দেয়নি বরং তারা যা চেয়েছে সে নির্দ্ধিধায় সেটা করেছে।

নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে সময়ে-অসময়ে। অথচ এই মানুষেরাই তার বুকে বসিয়েছে সর্বনাশের তাতানো ছুরি। যন্ত্রণার যাতাকল। মেয়েটি আজ সকালেও এখানে এসেছে। নিজের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি খুঁজছে।

নদীটির গতিপথ দেখার চেষ্টা করছে, কিন্তু বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই কোথাও। এমনতবস্থায় ছেলেটির ছায়া মেয়েটির চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো। ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মেয়েটি অনুভব করলো কিছুক্ষণ, চোখ বন্ধ করেই খুঁজে পেলো এই চোখের ভিতরেই সেই প্রবাহিত নদীকে দেখতে পাচ্ছে। চোখ খুলেই তাকে বললো: - কোথায় লুকিয়ে রেখেছো? - কি? - আমাদের সেই চিরোচেনা নদী? - নদী? কোথায়? - এইতো এখানেই তো ছিলো। - আমার এ জন্মেও এখানে কোন নদী দেখিনি।

- সেটা জানি যে তুমি এ জন্মে হরিহরকে দেখনি। - তবে - তবে পূর্বজন্মে এই নদীর সাথেই তোমার সখ্যতা ছিলো - মিথ্যে কথা - এটা সত্যি যে এই নদীর বুকে তুমি এক-একটি নারীকে হত্যা করেছিলে। এমন কী আমাকেও... - অসম্ভব! - তুমি ভুলে যাচ্ছো! মনে করে দ্যাখো। - আমার কিছুই মনে পড়ছে না। আমার পূর্বজন্ম বলতে কিছু নেই আমার উত্তর জন্ম বলেও কিছু নেই।

- আছে - সেটা তোমার ভুল ধারণা যেটা তুমি জেনেছো - আমি ভুল ধারণা নিয়ে পৃথিবীতে পূণর্বার ফিরে আসেনি। - আমার মতো করে তোমারও এই পৃথিবীতে প্রথম জন্ম এবং শেষ জন্ম। - কেন তুমি বারবার অস্বীকার করছো তোমার পূর্বজন্মকে। - তোমার কাছে কী প্রমাণ আছে? - দ্যাখো, আমাকে যখন তুমি হত্যা করেছিলে তখন তোমার বুক পকেটে আমার কানের দূল গেঁথে গিয়েছিলো। মনে পড়ছে? - না, আমার কিছুই মনে পড়ছেনা।

ছেলেটি ক্রমশ: অস্বীকার প্রবণ হয়ে উঠেলো। আর মেয়েটি আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলো। তারপর দু’জনের ভিতরে কথার পিঠে কথা বসিয়ে দীর্ঘক্ষণ পার করলো। এমন সময় যে সূর্য তাদের স্বাক্ষি ছিলো হঠাৎ করে সে নিভে গেলো। দু’জনই অবাক হলো।

কি ঘটনা আজ পৃথিবীতে ঘটতে যাচ্ছে। ছেলেটি ধারণা করতে পারছে না। চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে। সে অন্ধকারের ভিতরে ঢেকে যাচ্ছে। আর মেয়েটির অট্টহাসিতে আরো বেশি করে ছেলেটির শরীরের ভিতরে শীত ঢুকে যাচ্ছে।

ছেলেটি থরথর করে কাঁপছে। ছেলেটি বাড়ি ফিরে এলো। আবার সে ফিরে গেলো তার পূর্বজন্মে। এবার তার সব কিছুই মনে পড়ছে এবং একটি সিদ্ধান্তে স্থির হয়ে থাকলো যে সে পৃথিবীতে আদিকাল থেকেই আছে এবং প্রতি শতবছরে একবার নিজেকে সংষ্করণ করে আর তখনই পূর্ব শত বছরের সব কিছুই সে ভুলে থাকে। এই ধারাবাহিক বেঁচে থাকাটা তার কাছে স্পষ্ট হতে লাগলো।

সে আরো কিছুকাল বেঁচে থাকতে চায় এই পৃথিবীতে, সংগত কারনেই তাকে আবার কোন নারীকে হত্যা করবে এমনটি সিদ্ধান্তে পূণরায় উপনীত হলো। আর মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিতে থাকে যে যদি ছেলেটিকে বিয়ে করা যায় তবে আবার পৃথিবী তার পূণ:বস্থান ফিরে পাবে। যেখানে নদী থাকার কথা ছিলো, সেখানেই প্রবাহিত নদী আবার জেগে উঠবে। যেখানে সবুজে সবুজে ঘেরা ছিলো সেখানে আরো সবুজ সতেজ হয়ে উঠবে। ভূমণ্ডল-নভোমণ্ডল আবার তাদের প্রাণ ফিরে পাবে।

সংগত কারণেই মেয়েটি নতুন কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। ১. ছেলেটিকে তার মায়াজালে কাছে টেনে নিবে। ২. ছেলেটির সব কিছুকে সে গ্রহণ করবে। ৩. দু’জনেই একপর্যায়ে পালিয়ে যাবে এই শহর থেকে তিনদিন পরে আবার ছেলেটির সাথে মেয়েটির দেখা। মেয়েটির কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটি ছেলেটিকে স্পর্শ করতে বলে।

ছেলেটি স্পর্শ করে না। মেয়েটি অনেকবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। সে আর জোর না করেই ছেলেটির প্রস্তাবগুলো ধীর মনোযোগে শুনলো। সিদ্ধান্তগুলো ছিলো এরকম: ১. তারা দু’জনে এই শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবে ২. একটি নিবিড় নদীর ধারে তারা বসতি স্থাপন করবে ৩. দু’জনই দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার সংগ্রামে নিজেদেরকে সংযুক্ত করবে। আপাতত: দু’জনই এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করলো যে যার অবস্থান থেকে।

ছেলেটি মেয়েটিকে প্রভাবিত করলো আর মেয়েটি ছেলেটিকে তার সিদ্ধান্তের ভিতরে আঁটকে রাখলো। তাদের চিরোদিনের সাক্ষি সূর্যও থাকলো স্থির এবং অমীমাংসীত। প্রতিদিনের মতো সেদিনও সূর্য উঠেছে যেদিন তারা পালিয়ে যাবার জন্য তৈরী হলো। আজ সে তার আলোয় আরো বেশি আলোকিত হয়ে উঠেছে পৃথিবী এবং আজই হয়তো ছেলেটি মেয়েটিকে হত্যা করে দীর্ঘজীবি হবে কিংবা মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ে করে অমরত্ব লাভ করবে। আর তাদের হার-জিতের ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করবে মহান সূর্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.