একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
দেশের স্বার্থে বিশেষ কোনো সেক্টরে চোখ বন্ধ করে নারীকে ক্ষমতায়ন করা কখনোই উচিৎ নয়। কেনোনা তারা মেধাবী হতে পারেন কিন্তু তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো মানসিকতা তাদের থাকে না। বেশীরভাগ নারীর মূল সমস্যাগুলো হচ্ছেঃ
১. নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকে না, ফলে চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে তারা অন্যের সাহায্য নিতে ভালোবাসেন অথবা সাহায্য নেন।
২. বেশীরভাগ নারীরা গভীর চিন্তা করতে চান না, ফলে নতুন কোনো কিছু তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।
৩. বেশীরভাগ নারীদের ভেতরে দায়িত্ববোধও অনেক কম থাকে, ফলে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে বেশীরভাগ সময়ই ব্যার্থ হন।
বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত তিনটি পয়েন্ট সকল নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়।
দৃষ্টান্তঃ শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া
আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও উপরের তিনটি পয়েন্ট প্রযোজ্য। তিনি বরাবরই বেশীরভাগ দায়ীত্ব পালনে ব্যার্থ। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমি স্বাধীনভাবেই বলতে চাই, শেখ হাসিনার নিজস্ব চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ এখনো যেহেতু ঘটেনি সুতরাং বলা যায় তিনি একজন চিন্তাচেতনাবিহীন কলংকিত রাজনীতিবীদ। প্রচন্ড ক্ষোভের কারণে এভাবে বলতে হলো!! কেনো বলবো না? ঢাবির ছাত্র আবু বকরের মৃত্যুতে তিনি কিভাবে চুপ থাকলেন? তিনি কিভাবে সব এড়িয়ে বনভোজনে যান?! জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উত্তরসুরী হওয়ার কোনো যোগ্যতা-ই শেখ হাসিনার নেই।
আমাদের আরেক নেত্রী খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক একইরকম কথা প্রযোজ্য।
বাংলাদেশের রাজনীতিবীদঃ
আমার মতে প্রত্যেক রাজনীতিবীদের সূদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থাকা উচিৎ। অন্তত একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর তো অবশ্যই থাকা উচিৎ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের প্রায় ৯০ ভাগ রাজনীতিবীদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা বলতে তেমন কিছু নেই, যদি থেকে থাকে তবে তা নিজেকে নিয়েই, দেশকে নিয়ে নয়!!
রাজতান্ত্রিক বাংলাদেশঃ
বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া, দু’জনের মৃত্যুই অপ্রত্যাশিত ছিলো, আর এই সুযোগে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুজনই উত্তরাধিকার সুত্রে রাজনীতিতে আসলেন। রাজনীতিতে কে আসতে পারবে এবং কে আসতে পারবে না তা বিচারের কোনো মাপকাঠিই আমাদের জানা নেই।
যদিও একটা মাপকাঠি অবশ্যই থাকা উচিৎ।
খুব আক্ষেপ করে বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশ নামেমাত্রই গনতান্ত্রিক দেশ এবং মূলত এদেশের কাজকর্ম সবই হয় রাজতান্ত্রিকভাবে। এক রাজা যাবে আর এক রাজা আসবে, রাজার রাজপূত্র অথবা রাজকন্যাকে রাজত্ব হস্তান্তর করা হবে। আর আমরা সাধারন মানুষ দু’চারটা রাজপুত্র/রাজকন্যার মধ্য থেকে ভোট দিয়ে একজনকে শীর্ষে তুলে দিবো। রাজপুত্র/রাজকন্যা রাজা হিসেবে শীর্ষে উঠে আবার রাজত্ব করবে।
এভাবেই যাবে আসবে, কোনো পরিবর্তন হবে না!!
যাই হোক, গনতান্ত্রিক দেশে উত্তরাধিকার সুত্রে ক্ষমতায়ন যে দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা অনেকেই হয়তো বুঝে গিয়েছি, তবে আমরা অনেকেই হয়তো বুঝতে পারি না অথবা বুঝতে চাই না। জীবিত অবস্থায় জিয়া অথবা বঙ্গবন্ধু যদি বুঝতে পারতেন আলোচিতো দুই মহীয়সি নারী দেশটার এ করুন অবস্থা করবেন তবে তারা হয়তো তখনই ঘোষনা করে যেতেন যে আমাদের মৃত্যুর পর এই দুই নারীকে যেনো ক্ষমতায়ন করা না হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ১৯৯১ এর পর থেকে বাংলাদেশের দুরাবস্থার জন্য আলোচিতো দুই নারীকে দায়ী করাটা কি অন্যায় হবে? হবেনা, এবং আমারতো মনে হয় বঙ্গবন্ধু অথবা জিয়া যদি আবার পৃথিবীতে আসতে পারতেন তবে তারা এসে এই দুই আলোচিতো নারীর ক্ষমতা কেড়ে নিতেন, আর পলাশীর মোড়ে ভাঙা রাস্তার ধারে দু’জনকে কান ধরিয়ে উঠবস করাতেন। হা হা হা. . .
তবে আমি হলে তাদেরকে শুধু ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে বলতাম, ”বাংলাদেশ নিয়ে যদি নিজস্ব চিন্তাভাবনা না থাকে তবে দেশের এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ন পদ দুটি দয়াকরে মুক্ত করে দিন। দেশের উপকার করতে গিয়ে আপনারা নিজেদের অজান্তেই দেশের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারেন।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।