পারিবনা পারিবরা এই কথাটি বলিও না আর একবার না পারিলে দেখ শতবার। আমি কিছুই পারিনা চেষ্টায় আছি কিছু পারার কিছু করার যদি খোদা থাকে সাথে। তাই কিছু করার চেষ্ট করছি এই www.tunerworldbd.com দিয়ে ঘটনা ১
একদা আমার এক আপু
ওনি আমার কাজিন হোন বয়সে হইতো ৩-৪ মাস বড়।
প্রতিবারের মত ডাকতেছে ।
বললাম কি হইছে ? আমাকে বলছে আজকে নাকি কিছু ছবি দেখবে।
তাই সিডি ক্যাসেট ভাড়া করে এনে দিতে হবে। যখনই বাসায় থাকি ওইসময় এই কাজটা আমাকে
দিয়ে পিওনের মত কড়াই । যাইহোক কি কি যানে হিন্দি ফ্লিমের নাম বলে দিলো এবং কলকতার ও কিছু বলে দিলো।
এবং ওইসময় সন্জয় দত্ত ও অক্ষয় কুমার অভিনিত ব্লু ছবিটা মুক্তি পাইছিলো। আমাকে বলছিলা ব্লু ছবিটাও নিয়া আসবা যদি পাও।
দোকানে সব গুলা ছবির নাম বললাম দিয়া দিলো । এখন বেরিয়ে আসার সময় মনে পড়লো আরেকটা ছবি তালিকা থেকে বাদ পরলো
সেইটা হলো ব্লু ছবি । আমি দোকানদারকে বললাম ভাই ব্লু ফ্লিম যেইটা নতুন রিলিজ হইছে এইটা কি আছে ? বলে আছে তখন আলাদা করে
একটা লোকাল ডিস্ক দিলো। আমি বললাম ভাই নতুন যেইটা রিলিজ পাইছে এইটা । পরে বলে আপনারে নতুন কালেকশন ই দিছি ।
কিন্তু তখনও
বুঝতে পারছিলাম না আসলে কি নিচ্ছি । পরে আলাদা করে ১৫ টাকা সিডির ভাড়া দিচ্ছি ওই সময় দোকানদার বলে আরে ৩০ টাকা দিবেন ।
আমি মনে করছি ছবিটা নতুন বাহির হইছে তাই দাম বেশি নিতেছে । আবার বলতেছে এইসব সিডি একবারেই নিতে হবে ভাড়া হইনা।
ওকে নো প্রবলেম বাসায় গিয়া নিয়া নিমু তাই নিজের পকেট থেকে ১৫ টাকা
বেশি দিয়ে নিয়া আসলাম ।
ঘরে আসলাম এবং বললাম তুমার ব্লু ফ্লিমটাও পেয়ে গেছি । তবে ১৫ টাকা বেশি দিছি এইটা দাও । আমাকে বলে ওকে এখন আমার কাছে ভাংতি নাই পরে নেইস।
পরে কি কাজে যেনো বাহিরে চলে গেছি। ঘরে আসার পর বলতেছি ওই আমিনা তোমার কাছ থেকে ১৫ টাকা পাই ওইটা দাও ।
পরে বলে দারাও তুমার খবর আছে তুমার ১৫ টাকা আমি ভালো করে বাহির করে দিবো। আর ওই ১৫ টাকাও পাবানা । আমিতো পুরা বোকা হয়ে গেলাম।
চিন্তা করছি যেই সিডির জন্য টাকা বেশি দিয়া নিয়া আসলাম । কিন্তু আমাকে ১৫ টাকা দিবেনা।
ওকে এইটা ওরে দেখতে দিমুনা ওই সিডিটাই আমি নিয়া যামু ।
যাইহোক নিয়া গেলাম এবং ডিভিডিতে
প্লে করলাম যা বুঝার তাই বুঝে ফেললাম কেন ঝাড়ি দিছিলো ওই সময় তারপর থেকে ৬ মাস আর তাদের ঘরে যাইনাই ।
# ( সিডি দোকানে গিয়ে আপনি কি নিতে চাচ্ছেন তা বুঝিয়ে বলবেন নাহলে আমার মত অবস্থা হবে । রবি এ্যাডের মত কইরেন না বউ কইলো হাস নিয়া আসার জন্য জামাই নিয়া আসছে বাশ, কইলো দাত ভাইঙ্গা গেছে শুনছে বাদ ভাইঙ্গা গেছে।
ভুলটা ছিল দোকানদারের আমি কোন ব্লু ছবির কথা বলছি আর সে কোন ব্লু দিয়া আমার মান ইজ্জত ধুলাই মিশায় দিলো।
)
#ঘটনা ২
এই ঘটনার পরের ঘটনা । বাড়িতে আসলাম আর নতুন আরেকটা ল্যাপটপ নিসিলাম । আর বাড়িতেই আসলেই সবাই আবেদন করতো নাটক দেখার জন্য।
বরাবরই দেখাতাম । একদিন বলতেছে ছবি দেখবে ।
তারপর পর পর কয়েকটা একশ্যান ফ্লিম দেখাই । পরে আমার সমবয়সি চাচাতো বোন বলতেছে একটা ভূতের ছবি দেখবো।
আমি বললাম আমার কাছে ভূতের ছবি নাই । কিন্তু তার সাথে অনেক চাচাতো ভাই বোন ছিল তাদের ও জোরালো রিকুয়েষ্ট যে ভূতের ছবি দেখাতে হবে।
কিন্তু অরজিনালি আমার কাছে ভূতের ছবি ছিলনা তাই বাজারে সিডি ক্যাসেটের দোকান ছিল ।
ওকে বললাম ভাই একটা ভূতের ছবি দেনতো।
তখন কিং ভং নামে একটা ছবি দিল । তখন ঘরে আসলাম । ঘরের আলো নিভিয়ে দিলাম যেনো তারা ভয় পাই । ছবি প্লে হলো ।
ছবি অর্ধেকটা ভালো মতই গেছে কিন্তু একটু পরে হঠাৎ এক মেয়ে নগ্ন হয়ে তার জাদুর ভেল্কি দেখাচ্ছিলো আর বুইড়া জাদুকরের সাথে শুয়ে ছিল আরো ২টা নগ্ন মেয়ে ।
আর আমি সাথে সাথে ঠাপাস করে লেপির স্ক্রিন একবারে বন্ধ করে দিছি।
আর এমন টাইমে সবার চোখ নিচের দিকে । আমি কি কমু মনে হইতেছে আল্লাহ তুমি নিচে মাটি ফাক করো ভিতরে ঢুকি যাই।
কিন্তু বড় চাচাতো বোন ভাই এরা ছিল কিছুই বলেনাই ।
ওরা সবাই চুপ ও ব্যাপারটা বুঝতে পারছে। কিন্তু কয়েকটা ফুফাতো ভাই ওরফে বিচ্ছু ছিলো
তারা ছোট ছিল তাই দরজা খুলে এক দৌড় মেরে ফুফু এবং দাদুর কাছে গিয়া বলতেছে যে আমি নাকি নগ্ন মেয়ে দেখতেছি ল্যাপটপে ! বাছ এতটুকুই যথেষ্ট
বড়রা কাহীনি বুইজা আমার নামে কানা ঘুষা শুরু করে দিসে । ফুফুতো বলেই ফললো কি পাইছো তুমি ছোট বড় সবাইকে নিয়া কি দেখাইতেছো।
আমার জবান বন্ধ হয়ে গেছে। গেলাম দোকানদারের কাছে ।
ওই মিয়া কি সিডি দিলা আমার মান ইজ্জত সব ডুবায় ফেললা। দোকানদার বলতেছে কি হইছে ?
কইলাম তুমার সিডির ভিতরে এমন এমন জিনিস । দোকানদার হেসে বলে উঠে হা হা হা এগুলাতো সব ভূতের ছবি গুলাতেই থাকে তুমি জানোনা ?
আমি তো পুরা বেকুফ হইয়া গেলাম । আমাকে আবার বলে এগুলা কি সবাইরে নিয়া দেখে নাকি বোকা কোথাকার।
# ( দোকানদার থেকে যেই সিডিই আনেন না কেনো ভাই আগে আমার মত ভেরিফাই করে নিবেন নাইলে মান ইজ্জত সব ওখানেই রেখে আসতে হবে )
#ঘটনা ৩
উত্তরা ৪ নাম্বার সেক্টরের মাঠের এদিকে দারাই রইছি ওই সময় তারিফ নামে এক ফ্রেন্ড আইসা হাতে ২টা ডিস্ক দরাই দিলো।
বলতেছে এই এগুলা তোর কাছে রাখ আমি এখুনি আইতেছি
। আমি দাড়ায় রইলাম তখন পরিচিত ছোট বেলার হুজুর আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। আমাকে দেখে সালাম দিলো। আমিও সালাম দিলাম। আমাকে বলতেছে হাতে কি ।
আমি কইলাম
এই গজল বা ওয়াজের সিডি মনে হই। ( আসলে নিজেই জানিনা কি ) হুজুর কই তাইলে দাও আমারে একটু আমি অফিসের কম্পিউটারে কপি মাইরা আসি । আমি বললাম যান তবে এইটা আরেকজনে
আমাকে দিয়া গেছে । পরে বলে অসুবিধা নাই । দিয়া দিলাম সিডি গুলা ।
একটু পর তারিফ আসলো বলতেছে দোস্ত সিডিটা দে । আমি কইলাম হুযুর আসছিলো এমন এমন ঘটনা এইটা এইটা বলছি।
সে তো হাসি আর হাসি পরে আমারে কইতেছে আমার সিডি লাগবোনা যদি হুযুর সিডি দে তাইলে তুই নিয়া যাইবি । এই কথা বইলা দৌড়াইয়া পালাইছে । আর এই হুজুর তারিফের ও হুজুর ছিল।
কিছুদিন পর হুজুরের মাদ্রাসায় গেলাম সাথে আমার মামাতো ভাই। হুজুর আমাকে এবং মামাতো ভাইকে বলতেছে ওকে বিয়া করাই দিতে হবে । আমি তো অভাক হুজুর বিয়ার কতা কই কেন ?
পরে আমি মামাতো ভাইরে কইলাম জিগাইয়েন তো সে এই্টা কেন বলছে । পরে জিগাইছিলো এবং যা শুনলাম আমি ওইসময় মনে হচ্ছিলো ককটেল ফুডায়া আত্মহত্যা করি ।
ব্যাপারটা এখানেই সীমাবদ্ধ না ওই হুজুরের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক আমার বাবা এবং মামার ।
আমার মামা যেমন ইংরেশি শিক্ষিত তেমনিই অনেক ধার্মিক + তাবলীগ করে।
প্রতিদিনের মত মামার বাসায় গেলাম আমি আমার মামাতো ভাই । পরে মামার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবো ঠিক ওই সময় কি যেনো মামাতো ভাইকে বললো কিন্তু আমি শুনিনাই।
পরে আমারে বলতেছে কিরে তোর ওই ঘটনার কথা তো তোর মামার কাছে শয়তান হুজুর ফাশ করে দিছে তুমি নাকি এগুলা দেখো । এখন আমারে ঢাইকা কইতেছে তুমি নাকি আউট অফ কন্ট্রোল
আমি আবারও ক্রাশ খাইলাম ।
ওই দোস্তেরেও খুইজা পাইনাই। পরে আব্বুর কাছে বলছে কি বলেনাই আমি জ্বানিনা তবে ওই হুজুরের ২ টা সুন্দর মেয়ে ছিল মাত্র আমার ২-১ বছরের ছোট।
হারামজাদারে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমি রাস্তায় দাড়াই থাকি । একদিন মাদ্রাসা থেকে আছড় নামাজ পরে হুজুর বাহির হয়ে আসছিলো তখন তাকে ডাক দিলাম। বললাম হুজুর আপনি তো আমার
ভাইকে বললেন যে আমার নাকি বিয়া করাই দেয়া লাগবে এবং মামার কাছেও বললেন যার পর থেকে আমার মামার বাসায় যাওয়া টোটালি অফ কারন মুখ দেখাবো কি করে ।
এখন এক কাজ করেন
আপনার মেয়েকে আমি খুব পছন্দ করি ফাহিমানা অনেক সুইট তাকে আমার সাথে বিয়া দিয়া দেন । আর হুজুর আমাকে বেয়াদপ কইরা সেইরাম দৌড়ানি। পরে আব্বুর কাছে শেষ পর্যন্ত বলছে আপনার
ছেলে আমাকে এমন এমন বলছে । আব্বু উত্তরে বলছে হুম পুলাটা বেশিই মনে হই তুমার মেয়েরে পছন্দ করতো তাই সরাসরি তুমার কাছেই বইলা ফেলছে । আচ্ছা চিন্তা কইরোনা,
আমি ওরে শাশিয়ে দিবো
( # এইবার বন্ধুর জন্য মামার বাসা তো আজীবনের জন্য যামুনা সাথে হুজুরের কাছে অপমানিত টাইপের হইয়া গেলাম ।
)
# ঘটনা ৪
এইটা ২০০৬ সালের ঘটানা । আমার ক্লাসমিটরা বলতেছে দোস্ত তোর ল্যাপটপ আছেনা ? আমি বললাম আছেতো কেন ? কি দরকার ? দোস্ত চরম একটা ছবি আনছি কার্টুন ছবি ।
তাই চিন্তা করছি তোর ল্যাপটপে দেখুম । আমি কইলাম আজ শুক্রবার সারাদিন ভাইএর দখলে থাকবে ল্যাপটপ । আজকে না ।
বললো আরে তোর ভাইরে বল তোর কাজ আছে।
আমি বললাম আরে যদি কার্টুন হয়ে থাকে তাহলে তো আমি আর আমার আপন বড় ভাই মিল্লাই মানে সবাই মিলেই দেখতে পারি তাইনা ? ফ্রেন্ডরা বলে বোকাচোদা কোথাকার
তোর ভাই সিনিয়র বেইসের একসাথে বসে দেখা বেয়াদপি। পরে কইলাম আচ্ছা দে সিডি গুলা আমি যাই আর ভাই এর কাছ থেকে ল্যাপটপটা নিবো।
তখন সিডিগুলা টেবিলের উপর রেখে বললাম ভাই একটু ল্যাপটপ টা দাও কাজ আছে । ভাই বলে কিসের কাজ ? আমি বলি কয়েকটা কার্টুন ছবি দেখবো ।
ভাই বললো তুই কি এখন বাচ্চা নাকি যে এখনো কাটূন দেখবি ? আমি বললাম নাহ সবাই মিলে দেখবো । এই কার্টুন নাকি আর কারো কাছে নাই।
ভাই বললো নাই মানে ওই কাটৃনের পরিচালক কি তোর ফ্রেন্ডরা নাকি ? আজকে দিতে পারবোনা তুইতো জানিস শুক্রবারেই আমি চালানোর সুযোগ পাই অন্যানদিপ বিজি। তখন সিডি
গুলা টেবিলের উপর রেখেই সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসলাম ফ্রেন্ডদের কাছে এবং বললাম কিরে আজকে কার্টুন দেখা হবেনা পরে দেখিস কালকে আজকে ভাই কাজ করছে।
তখন বলে তাইলে হারামি সিডিদে তোর এখানে দেখুম ই না ।
আমি বলি আচ্ছি নিয়া আসতেছি । তখন দরজা খুলা ছিল তাই ঠাস করে ঢুকে দেখি ভাই কার্টুন দেখার জন্য এলরেডি সিডি লেপিতে
প্লে করে দিসে আর কাজ শুরু হইতেছে । এইটা দেইখা আমি আবার ব্যাকে গিয়া দরজায় আওয়াজ করে ভিতরে ঢুকতেছি । ভাই ওই সময় পাস করলো ভিডিওটা এবং বলতেছে এই তোর কার্টুন ?
আমি আমতা আমতা করে বলতেছি আরে বাবা আমি জানিনা তো আসরে কি এইটা । তারাতো বলছে কার্টুন ছবি ! যাইহোক সিডি গুলা দাও ।
ভাই বলে দওয়া হবেনা সিডি ওদেরকে ডাকে আন।
আমি তো বুইঝা ফেলছি আজকে ওদের কপালে শনি এবং আমার কপালেও আছে তাই চিন্তা করছি শনি লাগলে আমার কপালেই লাগুক ওদেরকে অপমান করে লাভ হবেনা ।
পরে বললাম না ওদেরকে ডাকতে পারবোনা ওরা শিরির নিচে ওয়েট করছে দাও তুমি সিডি এইটা বলে এক প্রকার জোরেই সিডিটা নিয়া আসলাম। তারপর দৌড়ায়া যেইটারে পাইছি লাথ্থি আর লাথ্থি।
এইটা হইলো আমার জীবনের বিভিন্ন ভাবে ধরা খাওয়ার এস্টাইল ।
আসলে উপরের ঘটনা গুলো যে সময় ঘটছে ওই সময় এগুলা কিছূই তেমন একটা জানতাম না।
এবং ধরা খাওয়ার পরও এগুলা নিয়া সচেতন হইনাই।
তাই বিভিন্ন ভাবে মাশুল গুনতে হলো আমার।
এছাড়াও অনেক ঘটানা আছে আমি মাত্র ৪টা শেয়ার করলাম তাই বেফুক অভিজ্ঞতা হইয়া গিয়াছে
আমার জীবনের এই ঘটনা শেয়ার করার উদ্দেশ্য হলো, যারা যানেনা তার যেনো এই ভাবে অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখামুখি না হয়ে যাই । আগে থেকে নিজেকে ঘোছাতে পারে।
তবে মেয়েদেরও এমন অনেক ঘটনা আমার কাছে শেয়ার করছে এগুলা আরো মজার । চরম ভাবে ধরা খাইছে এবং দেখার জন্য কি কি পদ্ধতি ব্যাবহার করতো এগুলা ইন্টারেষ্টিং ও চরম
আজকে আর শেয়ার করলাম না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।