'যেখানেই ছাত্রশিবির সেখানেই প্রতিরোধ এবং আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করা হবে। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাধীনতাবিরোধী এ অপশক্তির মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।' রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবন চত্বরে রাজশাহী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান ছাত্রশিবিরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন আইনে শিবির নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে তুহিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, 'প্রগতিশীল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতেই সাহসী নেতাদের টার্গেট করে পঙ্গু করে দিচ্ছে শিবির।' তিনি জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ করে বলেন, 'হিংস্র হয়ে লাভ নেই, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগকে দুর্বল করা যাবে না।'
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুর রহমান মিঠু, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুস্তম, রাজশাহী মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মাসুদ শিবলী, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল জলিল শান্ত, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।