চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-শিবির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মামুন নামে একজন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষে মামুনসহ তিন কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে শিবির। শনিবার রাতে সিলেটের নাইয়ারপুল এলাকায় চবি ছাত্রলীগের এক নেতার রগ কেটে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে চবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে চবি কর্তৃপক্ষ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা জালালের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে শিবির অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় শিবিরকে প্রতিহত করে ছাত্রলীগ। শিবিরের হামলায় ছাত্রলীগের ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। চবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে শিবিরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় শিবিরের তিন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চবি ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক জালাল আহমেদকে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি শাহ আমানত হলে ঢোকার চেষ্টা করলে শিবিরের কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ঘটনার জন্য উভয় দলই পরস্পরকে দায়ী করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উভয় গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর শাহ আমানত হলে অভিযান চালিয়ে ১৮ শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, চবি সংঘর্ষের ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে মামুন নামে একজন মারা যান। নিহত মামুনের পরিচয় জানা যায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।