যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।
মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন
আজ একটি স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়েছে দিকে দিকে
শিক্ষার আলো জ্বালানোর স্বপ্ন
১৪ জুলাই ২০০৮ থেকে সেই স্বপ্ন দেখার শুরু
আজ মেঘনাপাড় স্কুলের ১৪০ জন শিক্ষার্থী
এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার জন্য গতকাল ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে টিএসসিতে আমরা বসেছিলাম ক'জন।
ছবিতে দেখুন বিস্তারিত...
রুদ্র-অক্ষর একটি টি-শার্ট দিয়েছিলেন শিশুদের নাম স্বাক্ষরের জন্য। ২৫ ডিসেম্বর সেই টি-শার্ট নিয়ে গিয়েছিলাম মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনে।
১৪০ জন শিক্ষার্থী একে একে নিজের নাম লিখে টি-শার্টটি লাল-সবুজের কালিতে ভরে দেয়।
শিশুরা নাম স্বাক্ষর করার জন্য টেবিলের পাশে ভিড় জমিয়েছে।
নাম স্বাক্ষর শেষে হাসিতে উদ্ভাসিত শিশু
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই একটুকরো জায়গা স্কুলের নতুন ঘরের জন্য সীমানা করে রাখা। শিশুরা স্বপ্নমাখা হাসি নিয়ে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে।
শিশুদের স্বপ্নমাখা হাসিকে ধরে রাখতে গতকাল আমরা ক'জন টিএসসিতে মিলিত হয়েছিলাম একটি সমন্বয় সভার পরিকল্পনা নিয়ে।
ব্লগার জোহরা ফেরদৌসীকে সভাপতি করে সমন্বয় সভা শুরু হয়।
আলোচনার শুরুতে আজমান আন্দালিব স্কুলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখছেন। কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা যায়- এই বিষয়ে একটি পরিকল্পনার প্রিন্টেড কপি সবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সাথে এ পর্যন্ত স্কুলের জন্য ডোনেশন হিসেবে প্রাপ্ত সর্বমোট ১,০১,৮০৫/- টাকার খরচের হিসাবের কপি সবাইকে প্রদান করা হয়।
স্কুলের জন্য বিচ্ছিন্ন সহায়তা না দিয়ে একজন শিশুর ১ বৎসরের শিক্ষা ব্যয় ১৪,০০০/- টাকা এককালীন ডোনেশন দেওয়ার বিষয়টি সবার মাঝে উপস্থাপিত হয়।
ব্লগার রুদ্র-অক্ষর, একরামুল হক শামীম স্কুলের প্রাথমিক রেজিস্ট্রশন সম্পাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনার কথা সভায় জানানো হয়। এমপ্লয়মেন্ট ফোকাসড লারনিং বাংলাদেশ, ইএফএলবিডি এ ব্যাপারে বিস্তারিত ভূমিকা নেবে এবং সাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্কুল নিয়ে আলোচনা করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কেউ আগে উঠে গিয়েছেন, কেউ পরে এসে তড়িঘড়ি যোগ দিয়েছেন- এই অবস্থা।
গুণে দেখুন তো কয়জন আছেন আলোচনা সভায়!
রুদ্র অক্ষর, কবির য়াহমদ, শুভ্র, জোহরা ফেরদৌসী, একরামুল হক শামীম, আজমান আন্দালিব, সোহেল, কায়ছার, সানজিদ, শোভন, জসিম কাতাবি এরা সবাই উপস্থিত আছেন কিনা গুণে দেখুন তো! সবাই বোধহয় খুব তাড়া নিয়ে এসেছিলেন। কেউ কেউ সভার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছেন। না পেরেছেন আমাদের কথা শুনতে, না পেরেছেন তেমন কিছু বলতে।
দেবদাস
বাউণ্ডুলে পাশা
সমন্বয় সভার শেষ সময়ে ফোন দিয়েছেন মহাখালী থেকে রওনা হয়েছেন বলে। তখন ডিজিটাল ৭.৩০ টা।
ঢাকা শহরের জ্যাম পেরিয়ে টিএসসি আসতে সকাল সাতটা হয়ে যায় কিনা তা ভেবে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি, অন্ততপক্ষে খোঁজ নিয়েছেন বলে। অবশ্য তখন আমার মনে একটি গান বেজে উঠছিল...
আসি আসি বলে তুমি...আর এলে না (২)
সেই দিন থেকে জীবনের সাথে...(২)
শুরু সাধনা...
আশা করি নিশ্চয়ই অন্য কোন সমন্বয় সভায় আপনাদের অবশ্যই পাবো...
যাঁরা ফোন করে আমাদের সভার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন-
স্কুলের বর্তমান সভাপতি জনাব আজিজুন নাহার। স্কুল ড্রেসের জন্য আপা ১৫,০০০/- টাকা দেবেন জানিয়েছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা।
মাহমুদ ভাই
আইরিন সুলতানা
নিষাদ
সমন্বয় সভা শেষে সবচেয়ে আনন্দিত হয়েছি জেড.এইচ. সৈকত ভাইয়ের ফোন পেয়ে।
সৈকত ভাইয়ের শুভেচ্ছা বাণী সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। গতকাল লন্ডন থেকে শামছুল আলম মেহেদী ভাই ফোন করে আমাদের স্কুলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। মেহেদী ভাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
মেঘনাপাড় স্কুলের ১৪০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট ঢাকা ভার্সিটির টিএসসির সবুজ জমিনে ছড়িয়ে দেওয়া। যেন লাল সবুজের বিজয় পতাকা বাংলার পুরো জমিন হয়ে ফুটে আছে।
১৪০ জন শিশুর স্বাক্ষরিত এই টি-শার্টটি কি ১৪ কোটি মানুষের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে!
আমরা কি জাপানের সেই বৃদ্ধ পণ্ডিতের মতো ১০০ বস্তা চাল বিক্রয় করে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে স্কুল গড়ে অর্থনৈতিক ভিত গড়ার স্বপ্নকে ছড়িয়ে দিতে পারি না?
সমন্বয় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে আমি সে কথাই বলতে চেয়েছি...
আজকের সমন্বয় সভায় উপস্থাপিত শুভেচ্ছা বক্তব্য।
সমন্বয় সভা চলাকালীন চিন্তা, সুজন, নিমফুল, নীল কাব্য, আমার কবিতা, নীলসাধু, মুরুব্বী, বীর বাহাদুর বলবল সিং, আলরাহিম, জিয়া রায়হান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্লগে। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা।
সভা শেষে চলতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারির বইমেলায় আমার একটি সোশ্যাল ফিকশন সবাইকে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে উপহার প্রদান করা হয়। বইটির নাম ওয়ান জিরো ওয়ান সাইবর্গ টিম।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে শ্রদ্ধেয় মোজাফফর স্যার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছিলেন।
মাহমুদ ভাইয়ের ব্যবস্থাপনায় মেঘনাপাড়ের ৮০ জন শিশুর শীতবস্ত্র ইএফএলবিডি অফিসে সংরক্ষণ করা আছে। মাহমুদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ব্লগার রুদ্র অক্ষরের সহায়তায় বাকি ৬০ টি শীতবস্ত্রের সংস্থান শীঘ্রই হচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে খুব শীঘ্রই আবার লক্ষ্মীপুর যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে তারিখ নির্দিষ্ট করে বিস্তারিত ব্লগে জানাবো।
ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।