আজ ক'দিন ধরে আমেরিকা আর উইরোপে তুষারপাত, তুষার ঝড় আর তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পোল্যাণ্ডে প্রচণ্ডশীতে মারা গেছে ১৯ জন। জার্মানীতে তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। ফ্রান্স ও বৃটেনে শৈত্যপ্রবাহ আর তুষারপাতের কারণে ইংলিশ চ্যানেলের নিচের টানেলে চলাচলকারী ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। আটবেপড়া যাত্রীরা না খেয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩ দিন ধরে নজীরবিহীনভাবে বন্ধ আছে ট্রেন সার্ভিস ইউরোস্টার।
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্কসহ ১২টির বেশী অঙ্গরাজ্যে তুষার ঝড়ে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিমান সহ অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোপেনহেগেন থেকে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বরাবরের মতো হেলিকপ্টারের বদলে সড়ক পথে হোয়াইট হাউস যেতে হয়েছে। সেই সড়ক যাত্রাও তুষারপাতের জন্য বেশ বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়েছিলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য।
এতাদিন এইসব পশ্চিমা দেশের মিডিয়া খুব আমেজ করে আমাদের মতো দেশ গুলোর প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ/প্রচার করতো। মাঝে মাঝে টিটকারী করে আমাদেরকে ঝড়/বন্যার দেশ বলতো। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য আমেরিকার সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমন আর ইউরোপ প্রধানত: দায়ী।
১৯৯২ সালে রিও সম্মেলনে বাইয়ো ডাইভার্সিটি ট্রিটিতে সই করেনি অঅমেরিকা। কোপেনহেগেন সম্মেলন উন্নত দেশগুলোর অসহযোগিতায় কার্যত: ব্যর্থ হয়েছে।
আমাদের মতো গরীব দেশ তাদের ক্ষমতার বাহাদুরীর শিকার। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরনের কোন তথ্যই তাদের মন গলাতে পারেনি।
এ কারণেই কিনা জানি না, প্রকৃতিই হয়তো প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে এই সব দাপুটে ঈশ্বরদের ওপর। কোপেনহেগেন থেকে ফেরার পথেইতো হাতেনাতে প্রকৃতির বৈরী আচরণের শিকার হলেন গ্লোবাল ওয়ার্মিরয়ের প্রধান হোতা মার্কিনীদের প্রেসিডেন্ট।
এখন আমরাও কি বলতে শুরু করবো ওদেরকে তুষারপাত আর শৈত্যপ্রবাহের দেশ ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।