১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ইরানের সাথে পাশ্চাত্যের দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয় যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ইসলামী বিপ্লবের আগে ইরানের শাসন ব্যবস্থা ছিল রাজতন্ত্র। ইরানের সর্বশেষ রাজা রেজা শাহ পাহলভী ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত আস্থাভাজন। ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে রেজা শাহ উচ্ছেদ হওয়ায় এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চরিত্রের কারনে মার্কিনীরা শুরু থেকেই ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এরপর থেকে পশ্চিমারা হেন কাজ নেই যা ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্জাম দেয় নি ।
ইরানের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনকে লেলিয়ে দিয়েছিল পশ্চিমারাই। পরিণতিতে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তাক্ত যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছিল আট বছর। পরবর্তিতে সাদ্দামকে ধ্বংস করার ফাঁদ হিসেবে তাকে দিয়ে কুয়েত আক্রমণ করায় সিআইএ। গর্দভ সাদ্দাম সেই ফাদেঁ পা দিয়ে নিজেও ধ্বংস হয় এবং নিজের দেশকেও ধ্বংস করে।
সম্প্রতি ইরানের উত্থানকে ইসরাইল ও পষ্চিমারা সহ্য করতে পারছে না।
সম্প্রতি এর সাথে যোগ দিয়েছে ভারত। রাশিয়া ইরানের মিত্র বিবেচিত হলেও গত কদিন আগে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আজ ইরানের নৌবাহিনী পারশ্য উপসাগর থেকে কজন বৃটিশ নাবিককে গ্রেফতার করেছে। গত বছরও ইরান বৃটিশ নৌসেনাদের গ্রেফতার করে একমাস আটক রেখেছিল। (সূত্র এখানে পাওয়া যাবে) কাজেই কৃষ্ণাঙ্গ ওবামার নেতৃত্বে যায়নিষ্ট ইসরাইল এবং পশ্চিমা শক্তি বিশ্বকে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা এমুহুর্তে বলা হয়ত কঠিন হবে।
কারণ পশ্চিমারা ভালো করে বুঝে যে ইরান ও ইরাক এক নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।