চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
নিউজ উইকে প্রকাশিত একটি কার্টুনের কথা দিয়ে শুরু করছি।
বয়ে যাওয়া শীর্ণকায় নদীর একপাশে উন্নত বিশ্বের একজন মানুষ অপর পারশে দরিদ্র বিশ্বের একজন মানুষ। দুচারটা কাঠ লাকড়ি জ্বালিয়ে দরিদ্র মানুষটি শীত নিবারনের চেষ্টা করছে আর উন্নত বিশ্বের মানুষটি ক্ষুদ্র ধুম্রকুন্ডলির দিকে তার অভিযোগের তর্জনি উত্তোলিত করে বলছে তুমি পরিবেশ নষ্ট করছ অথচ তার পেছনের কারখানার চিমনি থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসা ধোয়া আকাশ অন্ধকার করে ফেলেছে।
এখন সবাই জানে পরিবেশের সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে উন্নত বিশ্বের লোকেরা।
দুনিয়ার ৯৫ % সম্পদ ভোগ করে কেবল উন্নত বিশবের ৫ থেকে ৬% মানুষ ।
কয় যুগ আগেও সারা দুনিয়াব্যাপী যারা উপনিবেশ স্হাপন করেছিল তারা এখন উন্নত বিশ্বে।
সারা দুনিয়াব্যাপি যুদ্ধ লাগিয়ে অস্র বিক্রির মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নেয় উন্নত বিশ্বের পুজিবাদীরা।
(ইরাক যুদ্ধের জন্য এবছর বিশব অস্রবাজারের মন্দা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে যে বাজারের ৪০% আমেরিকার দখলে। )
হলিউড মুভিজের মত সস্তা বিনোদন বেচে কামিয়ে নেয় কয়েক বিলিয়ন ডলার। এর সাথে আমদানী হয় বিজাতীয় সংস্কৃতি।
এরপরও কিছু ব্লগার ওদের সমাজ সংষ্কৃতির চিন্তা ভাবনার প্রশংসায় পন্চমুখ হয়, অভিযোগের তরজনি উত্তোলিত করে দরিদ্রদেশগুলোর মানুষের দিকে, তাদের মনমানসিকতাই নাকি সব সমস্যার জন্য দায়ী।
সেম অন দেম।
বিবিসির দরশকের প্রশ্নোত্তরের একটি অনুষ্ঠানে আমি এক ভারতীয়কে ক্ষুব্দ কন্ঠে উপস্থাপকে বলতে শুনেছি, তোমরা আমাদের কোহিনুর ফিরিয়ে দাও, ওটা তোমরা চুরি করেছ।
অথচ আমরা বাংগালিরা ওদের পদলেহনে ব্যস্ত। আমাদের অনেকেই মীরজাফরের বংশধর কিনা?
এখন আবার ঐসব দালালেরা আধুনিকতার নামে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্ক্বতি, চিরাচরিত মুল্যবোধ ধংস করার জন্য।
এটি করতে পারলে দরিদ্র মানুষের আর কিবা বাকি থাকে।
শোষনের দুয়ারটি তখন পুরোপুরি উন্মোচিত হয়ে পড়বে ওদের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।