ইউক্রেনের স্বশাসিত প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়ায় আজ বহুল আলোচিত গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্রিমেয়া ইউক্রেনের সঙ্গেই থাকবে না রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে এ বিষয়ে এ গণভোটে সিদ্ধান্ত নেবে অঞ্চলটির জনগণ। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য গোটা প্রজাতন্ত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্রিমেয়ার বেশিরভাগ নাগরিক রুশ বংশোদ্ভূত বলে সেখানে এ গণভোট নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব এ গণভোটকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণা অনুযায়ী, এ গণভোট সম্পূর্ণ বৈধ। শনিবার এ গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। চীন ভোটদান থেকে বিরত ছিল।
গত ১১ মার্চ ক্রিমেয়ার পার্লামেন্ট ওই প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি বিল পাস করে।
সেইসঙ্গে সেখানে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেয়। পার্লামেন্টের আইনি অধিকার থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ায় যোগ দেয়ার বিষয়টি জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। ক্রিমেয়ার পার্লামেন্টের ওই সিদ্ধান্তকে রাশিয়া স্বাগত জানালেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ইউক্রেনে বর্তমানে পাশ্চাত্যপন্থী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু ক্রিমেয়ার জনগণ পশ্চিমা শাসন মেনে নিতে নারাজ।
তাই তারা আজকের গণভোটে রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে বলেই পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।