বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না...
এই ভিনদেশে বেশ কয়েকবার ঈদ পার করেছি...এমনও ঈদের দিন গিয়েছে, সেদিন কাজ করেছি...একবারতো পরীক্ষাও দিয়েছিলাম...এমন কষ্টগাঁথা ঈদের কথা অনেকেই লিখেছেন...তাই দুঃখ-কষ্টের ঈদগুলোকে দুরে রেখে এবার যতটুকু আনন্দ পেয়েছি, সেটাই সবার সাথে ভাগ করে নিলাম...ভাগ্যক্রমে এবার ছুটির দিনে ঈদ হওয়াতে আর সেই সাথে কাকতালীয় ভাবে আরও চারদিনের সরকারী ছুটি পাওয়ায় বেশ জমজমাট ঈদ পালন করা হলো... আমার শ্বশুড়কূলের এক আত্মীয়পরিবার সেমিনারে আমাদের শহরের কাছাকাছি এসেছেন, উনারাও জানালেন আমাদের সাথে ঈদ করবেন আর ছুটিতে ঘুরাঘুরি করবেন..সাথে দুই ছোট্ট অতিথী আছে...আমার ছেলে আর দুই ছোটমনি, তিনজনে মিলে ভালোই ঈদ হলো ওদের, সাথে আমাদেরও...
ঈদের আগের দিন রাতে "ওমন রমজানের ঐ রোজার শেষে" গানটা ছেড়েছি কম্পুতে...ছেলে দেখি খুব মন দিয়ে গানটা শুনছে...কিছুক্ষন পরে প্রশ্ন "এলো খুশির ঈদ" মানে কি? তাকে বোঝালাম ঈদ কি...ঈদ কেন আনন্দের ইত্যাদি ইত্যাদি..কি বুঝলো কে জানে!!! বললাম ঈদের দিনে পান্জাবি পরতে হবে...এর আগের ঈদে পরেছিলো মনে আছে, মাঝে আর পরানো হয়নি পান্জাবি। টুকটাক রান্নার আয়োজন করছি, আর ছেলের সাথে গল্প করছি...ওকে আবার বললাম, বলতো ঈদ মানে কি? ওর সোজা উত্তর "ঈদ মানে পান্জাবি"
আমার তো তাও একটা ঝলমলে স্মৃতি আছে, ওর তো সেটাও নেই...
ঈদের সকালে রান্না করেছিলাম
লাচ্ছা সেমাই
চিটি আপুর ঐতিহাসিক রসমালাই
মিটভেজিটেবল রোল
ম্যাকারনি
ছোট্ট অতিথীর একজন
আমার ছেলে সাথে আরেক অতিথী
তিনজনের একটুপরে শুরু হলো বালিশযুদ্ধ...থামাথামির কোনো লক্ষন নেই...বলা হলো দুপুরে খেয়ে বেড়াতে বের হবো...তবেই তাদের শান্ত করা গেলো..
দুপুরে স্পেশাল কিছু করতে পারিনি সময়াভাবে...যেখানে প্রায়দিনই একটা কি দুটো আইটেম দিয়ে খাওয়া হয়, সেখানে একটু বেশি আইটেম হোক না রেগুলার ওটাই আমাদের কাছে ছিলো স্পেশাল...
ফিশবল উইথকারি
বিফ কারি
ছোট্ট অতিথীদের জন্য ছিলো ডিমপরিবারের সালাদ
ভেজিটেবল
চিকেন কারি
সন্ধ্যার দিকে বের হলাম ঘুরতে
টোকিও টাওয়ার দেখলাম
দর্শকদের দেখার জন্য ২০০ মিটার পর্যন্ত উঠার ব্যাবস্থা আছে
২০০ মিটার উপর থেকে রাতের টোকিও শহর
পরের দিন গিয়েছিলাম ডিজনীল্যান্ডে। আমার ভালো লাগে না রাইডগুলোতে চড়তে...শুধু বাচ্চাদের জন্য যাওয়া...পিচ্চিরা অবশ্য বেশ মজা পেয়েছে...আমি ভয়ে রোলার কোস্টারে উঠিনি...
সবসময়ই একটা না একটা অকেশান চলছেই, এখন হ্যালোউইন টাইম।
রাতের ইলেকট্রিক প্যারেডশো
বিভিন্ন ক্যারেকটার লাইটিং করা সেই সাথে মিউজিক গানও চলছিলো
নিমো
মনস্টার ইনক
এইটার নাম জানিনা
সবশেষে ড্রাগন...
অনেকেই ছিলো সিনডেরেলা, পিনোকিও, পিটারপ্যান...
সব চলন্ত গাড়ির উপরে, অনেক গুলো ছবি কেঁপে ঝাপসা হয়ে গেছে...তাই দেয়া গেলো না...বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত বারোটা বেজে গেলো...
এই পোস্ট আরও আগেই দেয়া উচিৎ ছিলো, কিন্তু বর্ষপুর্তি পোস্ট দিতে আর পোস্টের মন্তব্যর উ্ত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো...অনেকবার ভাবলাম এতোদিন পরে ঈদের পোস্ট দিয়ে কি হবে!!!!!
তবুও দিলাম যে, সামনে যদি এমন ঈদ না হয়, তখন এই পোস্ট দেখে কিছুটা শান্তনা পাওয়া যাবে....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।