পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি।
ইফতারের পর ছাত্রী পড়াতে গিয়েছিলাম গাজীপুর চৌরাস্তায়। পড়ানো শেষে ফেরার পথে সিগারেট টানার ইচ্ছে হল। গেলাম রাস্তার পাশের খুচরো দোকানে। মধ্যবয়স্ক দোকানি তখন কী যেন নিয়ে মহা ব্যাস্ত।
বিশ টাকার একটি নোট বাড়িয়ে দিয়ে বেনসন চাইলাম। দোকানি হাতের কাস্টমারকে বিদায় করে জিজ্ঞেস করল, "কী দিমু?"। "বেনসন" বলতেই সে আমার হাতে একটি বেনসন সিগারেট ও আধময়লা একটি পাঁচ টাকার নোট ধরিয়ে দিল। আরো দশ টাকা চাইতেই তার সে কী ঝাড়ি!! "ধুর মিয়া! দশ টাকার নোট দিয়া আবার দশ টাকা ফিরত চান ?" তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পরও তার রাগ কমে না। এবার তাকে ক্যাশ বাক্স চেক করতে বললাম।
সে কিছুক্ষণ ক্যাশ বাক্স উল্টেপাল্টে (আমার সামনেই) জানাল তার ক্যাশ বাক্সে কোন বিশ টাকার নোট নেই। চাপাচাপি করার পর ও পাশের আরেকজনের (পথচারী নয়, পাশের দোকানের লোক বা এই জাতীয় কিছু) কথায় দোকানি আবার তার ক্যাশ বাক্সে হাত ঢোকায়। এবার বিশ টাকার নোট ঠিকই বেরিয়ে আসে। তবে দোকানি নতুন অজুহাত খোঁজে, "আমি আগেই এই টাকাগুলান আলাদা কইরা রাখসিলাম। ধুর মিয়া, যান গা!"
এই সামান্য কয়টা টাকার জন্য মুলোমুলি করতে মন আর সায় দিল না।
তাই দোকান থেকে বেরিয়ে আসলাম। শুধু আসার সময় না বলে পারি নি, "আপনার কী মনে হয় সামান্য দশ টাকার জন্য আমি মিথ্যে কথা বলব?"
হায়রে মানুষ! সামান্য টাকার জন্য রমজানের দিনে অন্য একজনকে সন্দেহ করা মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।