আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষত

আমি সিনেমা দেখি

আপনি কি কবি? হঠাৎ কোনো অপরিচিত স্মার্ট সুন্দরীর মুখে এরকম কথা শুনলে পরিস্থিতিটা কেমন দাঁড়ায়! তাও যদি হয় একা রাস্তায় হাঁটার সময়। কিন্তু আমি উত্তরটা দিলাম প্রশ্নটার মতো করেই এবং ক`সেকেন্ড সময় নিয়ে। বললাম, আমি কবিই হই আর ভ্যানগগের ছবিই হই তাতে আপনার কি? সে হয়তো এরকম উত্তর আশা করেনি। না করলে নাই। পথে হাঁটছি একা।

বিকেল সময়ে হাঁটা আর ভাবা ছাড়া আমার কোন কাজ থাকে না আর পাশ দিয়ে অন্যান্য রিক্সাগুলো যেভাবে চলে যাচ্ছিল তা না করে সে সামনে থেমে গেল নেমে এল আর প্রশ্ন। না কোন বলা না কোন কওয়া! কিছুটা যে অবাক হইনি তা নয়। বরং অনেকটা হয়েছি। কিন্তু আমার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতার দরুণ তাকে তা বুঝতে দেইনি এবং অবাক হওয়াটা অনেক কষ্টে ঢুক গিলে ফেলেছি। ব্যাটা বড় ছেচর।

কিছুতেই হজম হতে চাচ্ছে না। শুধু চোখে মুখে ফুঠে উঠতে চাইছে। উঠবেই না বা কেন, আমার মতো গোবেচারা একজনকে কোন সুন্দরী-স্মার্ট এবং অপরিচিত জন হাঁটাপথে রিক্সা থামিয়ে যদি এমন প্রশ্ন করে তাহলে তো প্রাণ এমনি উতলে উঠে। তার হাতের শপিংগুলো আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে আবার বলে ধরুন তো একটু প্লিজ। এবার আর 'থ' না হয়ে পারলাম না।

মুখে কথা সরছে না। মুখটা হাফ ইঞ্চির মতো ফাঁক হয়ে আছে যাতে একটা মাছি অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। চোখগুলো নিস্পলক। এমনিতেই গরুর মতো বড় বড় চোখ বলে আমার চোখের বেশ প্রশংসা আছে পরিচিত মহলে। আর এই সময় তাকে মন হয়ে আছে সে না দেখলেও স্পষ্টই বুঝতে পারছি।

রিক্সাভাড়া মিটিয়ে তিনি বললেন চলুন আপনার সাথে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি। হাতে শপিং চোখ মুখ স্টিল, এবার পা দুটোও গেল। চেষ্টা করেও পা চালাতে পারছি না। নিশ্চিতভাবে দুই টন ওজন আমার পায়ের সাথে আটকে গেছে। আর তখনি আমার ঊর্ধ্ববাহুতে হাত রেখে আলতো টানে বলল, কই চলুন।

এই হয়েছে এতক্ষণ তাও দাঁড়িয়ে ছিলাম। অন্তত মাথাটা ঠিক ছিল। এবার তাও গেল। এখন পড়ে না গেলেই হয়। আবার একটু টান এবং যথারীতি বলল আহা চলুন তো; এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষ কি ভাববে? তাইতো! মানুষ কি ভাববে? তার আগে আমি একটু ভাবি।

ভাবতে পারি আর না পারি ভাবার চেষ্টা করি। চোখ, মুখ, হাত, পা, মাথা যেমনই হোক মনটাকে স্থির রাখি এবং তাতেই শক্তি যোগাই। আমার ঊর্ধ্ববাহু থেকে তার হাত নেমে গেল। সে আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগল। আমিও তার পিছে পিছে হাঁটছি।

কিভাবে হাঁটছি জানি না। তবে হাঁটছি। অনেকটা মেসমেরিজমের মতো। কিন্তু হাঁটতে গিয়ে যখন এক রিক্সাওলার ধাক্কা খেলাম তখন কিছুটা সম্বিত ফিরে পেলাম। এখন কিছুটা ভাবতে পারছি।

যাই হোক রিক্সাওলার ধাক্কা খেয়েছি; রিক্সার নয়। তাহলে বোধহয় হাত-পা-নাক-মুখ-চোখ একটা না একটা কিছু যেত। তখনি সে বলে উঠল তোমাকে নিয়ে আর পারি না; এখন রিক্সাচাপা পড়লে কেমন হতো বলো। এ্যাঁ! আপনি থেকে একবারে দু’কদমেই তুমি। আমার আমার জন্য যে দরদ মনে হয় কত দিনে আপন।

এইবার মনে হচ্ছে সিন্দাবাদের দৈত্য কাঁধে চেপেছে। কিভাবে নামবে একমাত্র মাবুদই জানেন। শালা এই সময় যদি মাবুদটা কাছে থাকতো। মাবুদ না থাক যুবা কিংবা পারভেজ। তাও না।

সব শালা বাড়িতে। শুধু আমি শালাই অসহায়ভাবে এই সুন্দরী দৈত্যের সাথে। ঘাড়ে চেপেছে যখন তখন নিশ্চয়ই নামবে। নিজের ইচ্ছায় চেপেছে নিজের ইচ্ছাতেই নামুক। আমি না হয় চেষ্টা নাই করি।

বরং তার মতো চলে তাকে খুশি করার চেষ্টা করি যাতে তাড়াতাড়ি নেমে পড়ে। তো তাই হোক। এবার সাথে সাথে হাঁটছি। আমার অপেক্ষা না করে সে তার কথা বলে যাচ্ছে। নাম, ঠিকানা, কোথায় পড়াশোনা করে, কোথায় গিয়েছিল, শপিং কি করেছে সে।

শপিং-এর বিবরণ শুনলে মনে হবে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে সবকিছুর হিসাব দিচ্ছে। তার কথা শুনে তার সাথে হেঁটে যদিও ভয়-ভয় করছে আর বুকটা দুরু দুরু করছে তবু বেশ একটু ভালো লাগছে। হাজার হোক সুন্দরী এবং স্মাটতো। আমার মতো নিরীহ একজনের সাথে পথে সে, মনে মনে কিছুটা গর্বও হচ্ছে। মাঝে মাঝে এদিক ওদিক তাকাই যদি পরিচিত কেউ থাকে তাহলে দেখুক।

যাকে সবাই সামনে-পিছে; আড়ালে-আবড়ালে ক্যাবলা বলে তার সাথেও এমন একজন হাঁটতে পারে কথা বলতে পারে এবং শহরের পথে। এমন সময় সে বলল চল তোমার বাসায়ই যাই। আমি তো বাসায় থাকি না, মেসে থাকি- বললাম। তাহলে তো আরও ভাল, চল তোমার রুমটা দেখে আসি। আমি হ্যাঁ-না কিছুই বলতে পারলাম না।

শুধু দৈত্যের কথা মতো চললাম। অনেকটা যথাআজ্ঞা মহারাণী; আপনার আদেশ শিরোধার্য ধরন। মেসে এসে রুম খোললাম। এ সময় সাধারণত কেউ থাকে না। সবাই বেরিয়ে যায় ঘুরতে টিউশনিতে কিংবা অন্য কাজে।

রুমে ঢুকে তার শপিংগুলো আমার বিছানায় রাখলাম। কিন্তু এবার যে কাণ্ডটা ঘটলো তাতে আমার হাত পা সত্যিই কাঁপছে। সে রুমে ঢুকে ধরজাটা বন্ধ করে দিল। নির্জন একটা ঘর আর তাতে একটা সুন্দরী মেয়ে সাথে আমি অর্থাৎ একটি ছেলে। আপনারাই ভাবুন ব্যাপারটা কেমন হয়।

আমি দরজাটা খুলতে গেলে সে আমাকে আঁকড়ে ধরে বলে থাক না বন্ধ। দু’জন নিরবে কিছুটা সময় কাটাই। এরপর আমার দম বন্ধ না হলেই হয়। ইয়া মাবুদ। বিছানায় বসে আমার মুখোমুখি।

নিজেই কথা বলে যাচেছ। আমি শুধু শুনছি আর তার দিকে চেয়ে আছি। এক এক সময় তার ওড়ানটা বুক থেকে খ'সে পড়ছে আর সে তা ঠিক করছে। এক সময় ওড়নাটা খ'সে পড়ার পর আর তা তুলতে চেষ্টা করল না। ওড়নাটা আমার বিছানায়ই রইল।

এখন আমার স্ট্রোক করার উপক্রম কারণ তার হাত আমার হাতে রেখে আমার দিকে ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট চেপে দিতে চাইল। আমি সরে দাঁড়ালাম। সে এগোয় আমি পিছিয়ে যাই। এক সময় সে আমাকে জড়িয়ে ধরে।

ঠোঁটে ঠোঁট চাপতে চায় কিন্তু আমার ধাক্কাটা সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। উঠে দাঁড়ায়। তারপর আমার বা গালে তার ডান হাতের পাঁচ আঙ্গুলের দাগ ষ্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়। আমাকে দেয়ালে চেপে ধরে। তার সুন্দর চেহারা আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে।

তার শরীরের কাপড়গুলো খুব দ্রুত খসে পড়তে থাকে। অনাবৃত শরীরে দেখা যায় ক্ষত। পুঁজ-ঘা-রক্ত আর ক্ষত। স্তনে, যোনীতে, উরুতে, নাভিতে, পেটে, পিঠে। ক্ষত-দাঁত আর নখরের ক্ষত।

নগ্ন ক্ষত। ভয়ার্ত আমি। মুখ ফসকে আওয়াজ আসে তুমি কে? সত্যিই কে? সে হাসে। বিজয়-করুণার হাসি। তারপর বলে, আমি মহিমা-সীমা চৌধুরী ইয়াসমীন।

এখন আমার পালা। এরপর আমি ধীরে ধীরে তার পায়ের কাছে বসে পড়ি। আর তার পায়ের কাছে বসে আমার লম্বা জিভ দিয়ে তার পা চেটে চেটে লেজ নাড়তে থাকি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।