আসলান যখন গাছের শিকড়ে পচন ধরে তখন কান্ড বা শাখা-প্রশাখার পরিচর্যা করে গাছকে বাঁচানো সম্ভব নয়। আর জামাত শিবিরের রাজনীতির শিকড়ে রয়েছে যুদ্ধাপরাধ নামক মরণব্যাধি যা আমাদের পুরো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে করেছে কর্কট রোগে আক্রান্ত। যে রোগের কারণে আমরা পুরো জাতি আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একজোট হতে পারছিনা। জাতির কিছু অংশ আজ দ্বিধাগ্রস্ত। আর কেউ কেউ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এই মদতদাতারা আমাদের স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মেরই অংশ কিন্তু এরা ঐ কর্কট রোগের স্বীকার।
প্রজন্ম চত্বরে আজ যে জনজাগরণ সেখানে এই শিকড়ের রোগ সাধনেরই সংগ্রাম চলছে। জাতির দ্বিধাগ্রস্ত অংশের কাছে আমার প্রশ্ন আমরা কি আগে শিকড়ের রোগ সাধনে সচেষ্ট হব না কান্ড বা শাখা-প্রশাখার (সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো) রোগ সাধনে ব্যতিব্যস্ত থাকব? একটা কথা মনে রাখবেন গোঁড়ায় গলদ থাকলে আগায় পানি দিয়ে লাভ নেই। গোঁড়ার গলদ সাধন করতে না পারলে আগায় সব সময়ই রোগ লেগে থাকবে।
তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের আর্থ-সামাজিক ও সর্বোপরি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিরাজমান কর্কট রোগ হতে মুক্তি দিতে পারব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।