দুই দিন ধরে দাতের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি। তাই আজ সকালে ডেন্টিষ্ট এর কাছে গিয়েছিলাম। ৫,০০০ ইয়েন খরচ। কষ্ট লাগতেছে। এই টাকা দিয়া কিছু শপিং করা যাইতো।
টাকার কষ্ট ভুলতে না ভুলতে আর এক কষ্ট হাজির।
ক্লিনিকে বসে আছি। আমার ছেলে , তার বাবা গেছে টাকা তুলতে। কিছুক্ষন পরে দেখি এক মাইয়া আর এক হিপ্পি পোলা আইলো। মাইয়ার চেহারা দেইখা বুঝলাম আমার দেশী নাইলে প্রতিবেশী কোন দেশ।
আমার দেশী হবে কিনা আমি দ্বিধান্বিত তার গেটআপ দেখে। বর্ননায় নাই বা গেলাম। আমি মানি এসব যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আমার সমস্যা আমি আমার শিকড় থেকে বের হয়ে আসতে পারিনা। আমার শিকড় দারিদ্রতায় ভরা বাংলাদেশ, অনাহারে থাকা শিশু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অস্হিতিশীল রাজনীতি।
এর কোন একটাকে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারিনা।
এখানে একটা সম্মান জনক অবস্হানে থাকার পরেও আমার শিকড়ের কারণে হঠাৎ করে কখনো কোথাও কারো বাকা চাহনী আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়না । আর এই বাকা চাহনি কেবল আমাকে ঘৃনা করতে শিখিয়েছে তাদেরকে।
আমদের কি দায়িত্ব নেই নিজেদের অস্তিত্ব ,সংস্কৃতি, ঐতিহ্য , তুলে ধরার।
নাকি নিজের অস্তিত্ব লুকিয়ে ঐ ধার করা সভ্যতা গায়ে পরে কাকের মত চোখ বন্ধ করে ভাববো যে, কেউ দেখবেনা আমার শিকড়।
ধিক্
পরে ডাক্তার এর কাছে গেলে পরিচয় জেনে বল্ল, একটু আগে তো বাংলাদেশের একজন এসেছিলো। আরো জানলাম , উনি রাষ্ট্রদূতের ! কন্যা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।