৩৮) শিকড়
মাঝে মাঝে মনে হয়
কেমন স্হবির হয়ে গেছি।
মাথার ভিতরে স্নায়ুগুলো
সব অবশ মনে হয়।
হাত পা নাড়াতে পারিনা।
নিশ্চুপ বসে থাকি নিরালায়।
ভাবনার শিকড় বাকর ছড়িয়ে যায়।
উন্মুখ হয়ে দেখি আমার ছেলেবেলা।
বাবা-মা ভাইবোনদের নিয়ে
পরম মমতা মাখা জীবন।
এমন কি পাশের বাড়ীর সেই শিউলী গাছটা,
যেখান থেকে ফ্রকের কোল ভরে আনতাম ফুল।
শিকড় থেকে উঠে আসা স্মৃতিরা
আমায় নিয়ে যায় পুরাতনে।
একদিন
জ্বরের তাপে পুড়ে যায় শরীর।
মা মাথায় পানি ঢালেন আর বৃষ্টিতে ভিজেছি বলে
বকতে থাকেন।
বাবা ঔষধ খাইয়ে দেন।
গ্লুকোজ বিস্কুট কিনে আনে বোন।
কি অদ্ভুত করে ফিরে আসে সেই দিন গুলো।
চোখের পলক ফেলিনা।
জড়তার মূর্ত প্রতীক হয়ে বসে থাকি।
খুঁজে ফিরি বাবার হাত।
মায়ের আঁচল।
ভাইবোনের মমতা।
আর সেই শিউলীর গন্ধ।
আমার হাতের তালুতে হাত রাখে
নরম ছোট্ট দু'টি হাত।
আমার জঠরে বেড়ে উঠা আমার সন্তান।
আমার নীরবতা ওকে ও ছোঁয়।
চুপ বসে থাকে।
শিকড় ছড়াতে থাকে ওর মাঝেও।
প্রতিটা মানুষ এভাবেই মনে হয় শিকড় ছড়ায়।
গাছের মত মানুষের ও শিকড় ছড়ায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।