বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।
গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাষীরা এবার ব্যাপকহারে পাট চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এতে উপজেলার সর্বত্র পাটের বাম্পার ফলন হলেও পাট কাটার আগ মূহুর্তে জাগ দেয়ার পানির অভাবে পাটচাষীরা দারুণ বিপাকে পড়ছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার এ উপজেলায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২ হাজার হেক্টর জমিতে তোষা জাতের এবং ৫০ হেক্টর জমিতে দেশী জাতের পাটের চাষ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি মাসে কমপক্ষে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন থাকলেও হয়েছে মাত্র ২০ মিলিমিটার। অন্যদিকে পাশ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার নটাবাড়িয়া কিনু সর্দারের ধর নামক স্থানে বড়াল নদীতে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখায় যমুনা নদীর পানি এ উপজেলার খাল-বিলে প্রবেশ করতে পারছে না। যার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নদী-নালা, খাল-বিল, ডোবা, জলাশয়গুলো একবারেই শুষ্ক অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে পাট চাষীরা পাট ডুবাতে(জাগ দিতে) ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলার ভরতপুর গ্রামের পাটচাষী নির্মল চন্দ্র দাস ও তফিজউদ্দিন মাষ্টার জানান, এবার বৃষ্টি-বাদল কম হলেও পাটের ফলন ভালোই হয়েছে। কিন্তু পাট কাটার সময় পেরিয়ে গেলেও জাগ দেয়ার পানির অভাবে পাট কাটতে পারছি না । এ অবস্থায় পাট ঘরে তুলতে পারব কিনা সে দুশ্চিন্তায় আছি।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান জানান, এবছর পাটের বাম্পার ফলন হলেও পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় চাষীরা কতটা লাভবান হবেন তা বলা যাচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।