আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়াইগ্রামে জেলে পরিবারগুলোতে চলছে দুর্দিন

বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।

প্রচন্ড খরা ও দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে নদী-নালা, খাল-বিলে পানি না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় তিন হাজার জেলে পরিবারে বর্তমানে চলছে দুর্দিন। মাছ শিকার না করতে পারায় এসব জেলে পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার সদস্যের এখন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে । উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলায় বড়াল, পচা বড়াল, নন্দকুজা, খলিসাডাঙ্গা ও কমলা চিকনা নামে ৫ টি নদী রয়েছে।

এ ছাড়া ৬৩ টি খাসসহ মোট ২২৪০ টি পুকুর ও ৫ টি বিল রয়েছে। কিন্তু এসব বিল, নদী ও পুকুর পানি শূন্য হয়ে পড়ায় মাছ শিকার করতে পারছে না জেলেরা। এ কারণে উপজেলার প্রায় তিন সহস্রাধিক জেলে পরিবারে চলছে দুর্দিন। কেউ কেউ পেশা ছেড়ে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিচ্ছে ভিাবৃত্তির মত পেশা।

বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৎস্যজীবি আব্দুল কুদ্দুস, রহেদ, মোশারফ ও ময়নাল জানান, মাছ না থাকায় তারা এখন দিনমজুরের কাজ করছেন। তবে মাছ ধরা ছাড়া অন্য পেশায় অভিজ্ঞতা না থাকায় গৃহস্থ্যরা তাদের কাজে নিতে চায় না বলে তারা জানান। বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি জনাব আলী বলেন, বর্তমানে মাছ না থাকায় মৎস্যজীবিরা খুবই বিপাকে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে তাদের দিন কাটছে। মৎস্যজীবিদের প্রতিবছরই এ সময়টা খুব কষ্টে কাটে ।

তাই সরকারের প থেকে এ সময়ে জেলেদের জন্য এককালীন সহায়তা অথবা সুদমুক্ত ঋণদানের দাবী জানান তিনি। বড়াইগ্রাম উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোবাশ্বীর হোসেন জানান, বতর্মানে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে অধিকাংশ জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার দরিদ্র মৎস্যজীবিরা খুবই বিপাকে পড়েছে। মাছ শিকার করতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে তিনি জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.