.
ঘটনাটি গত জুম্মার:
নামাজ মাএ শুরু হচ্ছিলো ইমাম সাহেব খুদবা প্রায় শেষ করে এনেছিলেন, হটাৎ এক ভদ্রলোক দাড়িয়ে গেলেন "আমার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে! একটু আগেও আমার পকেটে ছিল এখন পাচ্ছিনা!!"। আসপাশের সবাই ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে মোবাইল খুজতে লেগে গেল। অনেকের অতি উৎসাহি প্রশ্ন; মোবাইলটা কখন শেষ দেখেছেন, কি মডেল ইত্যাদি ইত্যাদি...। ভদ্রলোকের পাশের জন বললো ভাই আপনার মোবাইল নাম্বারটা বলেনতো একটা ফোন দেই, লোকটি ফোন নাম্বারটি বললো। কল দিতেই ঘটলো এক মজার ঘটনা, দু'সারি সামনের এক লোকের পকেটে বেজে উঠলো গান!! মোবাইল হারানো ভদ্রলোক প্রায় লাফিয়া উঠলেন "ঐতো আমার মোবাইল বাজেঁ!" ।
মোবাইল বাজতে থাকা লোকটা উঠে কোথাও যাওয়ার চেস্টা করলো, মসজিদের ৩য় তলার প্রায় সবার দৃষ্টিই লোকটার উপর। হেংলা-পাতলা যুবকটির বয়স ২৮-৩০ হবে, গায়ের রং কালো, পড়নে কালো পান্জাবি- ময়লা জিন্স,খোচা খোচা দাড়ি,চোখ লাল। দেখলেই বোঝা যায় মাদকাসক্ত। কারোরই বোঝার বাকি থাকলোনা যে এই বাবাজিই হলেন চোর মশাই।
"এইযে ভাই আপনের মোবাইলটা একটু বাইর করেনতো দেখি"
উত্তর: "আমার মোবাইল দিয়া আপনে কি করবেন?!!", এবার আমাদের মোবাইল হারানো ভদ্রলোক খোপ করে চোরটির পান্জাবির কলার চেপে ধরলো "বেটা বাইর কর মোবাইল"।
উপায়ন্তর না দেখে চোর বাপধন পকেট থেকে বের করলো একটি নকিয়া ই৯০ মোবাইল!! মোবাইল হারানো ভদ্রলোকের সাইজ কিন্তু খারাপ ছিলোনা বেশ মোটা তাজাই বলা চলে "আমার মোবাইল তোর পকেটে গেল কেমনে?" কথা শেষ হতে বেশি দেরী হলোনা, মসজিদের ভিতরে শুরু হল চড়-থাপ্পর আর কিলানির উৎসব, প্রায় ডজনখানেক লোক ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে তাদের মনের ভিতরে থাকা জ্যাকি চেংয়ের সুপ্ত প্রতিভা প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়লো...চললো মিনিট পাঁচেক কিন্তু বাধ সাঝলেন ইমাম সাহেব, নামাজ শুরু হবার ইংগিত দিয়ে। চোরটিকে মসজিদের সামনে থাকা কিছু পুলিশের হাতে তুলে দাওয়া হল। এত মার খাওয়ার পর সম্ববত টারমিনেটর থাকলেও তার নাট বল্টু খুলে যেত কিন্তু চোর বাবাজীকে বেশ সুস্থ স্ববলই মনে হল!! অনেককেই বেশ হতাশ মনে হলো এত চমৎকার একটি সুযোগ! হাতছাড়া হবার জন্য। একজন সৌভাগ্যবান ধোলাইকারিকে বেশ উৎফুল্য মনে হলো, গর্বের সাথে তার সাথে আসা একজনকে বললো "চোর পিডাইতে যে কত মজা আইজগা ট্যার পাইলাম"!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।