তাকায় সবাই, কিন্তু দেখে খুব কম লোকই।
এখন নিচ্ছি একটা বিজ্ঞাপন বিরতি। যাবেন না। আমাদের সঙ্গেই থাকুন। এইটা হইল, ঘোষণা দিয়া বিজ্ঞাপন বিরতি।
ঘোষণার আগেও কিন্তু বিজ্ঞাপনই চলতেছে। যেমন, বলা হচ্ছে, এখন "ইস্টার্ন ব্যাংক বিরতি"। বিজ্ঞাপন বিরতি, তারও আবার ডোমেইন বেচা হয়েছে।
যেই না একখান চেহারা, নাম রাখছে পেয়ারা। এতো ঘোষণা, এতো ঢাকঢোল, বিজ্ঞাপন গুলা কিন্তু সব হুমদা, হামদা।
মাথা মোটা টাইপ। জোর কইরা কানে ঢুকায় দিতে চায়। ঝাঁ করে সাউন্ড বেড়ে যায় না হলেও ৪ ডিবি।
সাবধান। রিমোট হাতে তৈরি থাকতে হবে আপনাকে।
বিরতি হওয়া মাত্রই ঝপাঝপ করে কয়েক ঘাট নামিয়ে দিতে হবে সাউন্ড বার। এবার সই। আর যদি এই ফাঁকে কথাবার্তা সেরে নিতে চান, তাহলে আরো কয়েকঘাট। আমার শ্বশুর মশাই করেন একেবারে মোক্ষম, তিনি সোজা মিউট বাটন দাবিয়ে বসেন। যা বাওয়া।
অবশ্য, বিজ্ঞাপন বিরতির উপকারও আছে, সেই ফাঁকে অন্য চ্যানেলে ঢুঁ মেরে আসা যায়। সেই সুযোগে বাসার অবুঝ বাচ্চাকে খাইয়ে নেয়া যায়। চট করে চা বানিয়ে বা মুড়ি মাখিয়ে এনে আবার জাঁকিয়ে বসা যায়। স্টার মুভিজের মতো বিজ্ঞাপন বিহীনভাবে ছবি দেখলে কি আর চা মুড়ি হতো?
আমার এক ভাবী তো মাঝে মধ্যে বলেই বসেন, একটা বিজ্ঞাপন চ্যানেল থাকলে খুব ভালো হতো। বাচ্চাটাকে ঝটাপট খাইয়ে বসিয়ে রাখা যেত।
তা কি আর হয়? সারাক্ষণ বিজ্ঞাপন হবে জানলে কি আর দর্শক বসে থাকে? এখনও সারাক্ষণই বিজ্ঞাপন হয়, কিন্তু তবু আমরা বসে থাকি, একসময় বিজ্ঞাপন শেষ হবে, সেই ফাঁকে আমরা অনুষ্ঠানের বাকী অংশ দেখব। বসে বসে এক কুমিরের বাচ্চা সাতবার দেখতে থাকি।
... ছোট্ট একটা বিরতি নিচ্ছি। যাবেন না। ...
সারাক্ষণই বিজ্ঞাপন
বিরতি আবার কী?
সবার সাথে ব্যবসা আমার
মৌলবি, খানকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।