"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
ওদিকে উজকুম্বা কয়দিন দেশের বাইরে থাকার পর এসে দ্যাখে সব ওলটপালট হয়ে গেছে তার তানজু এখন বিমার হয়ে গেছে। সে সুযোগ খুজতে থাকলো কিভাবে বিমা আর তানজুর মধ্যে প্রাচীর তৈরি করা যায় কিন্তু সে সুযোগ না পেয়ে ভিতরে ভিতরে ক্ষেপে যেতে থাকে। আর তার এই সময় সঙ্গী হয় সাইফুর।
সাইফুর বিমার বাবার কাছে নালিশ করে, মেয়ের কোন খোজ রাখেন! আপনার মুক্তার মালা মেয়ে তো বান্দরের গলায় পরতে চাচ্ছে।
মানু সাহেব রেগে যান মেয়ের নামে এ ধরনের কথা শুনে।
তিনি সাইফুর কে অপমান করে বাসা থেকে বের করে দিলেন।
তারপর মানু সাহেব মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করল, কি রে তোর নামে কি শুনলাম। তুই নাকি কোন তানজু না রন্জু র সাথে প্রেম করছিস!
হ্যা বাবা। ও খুব ভাল ছেলে। তুমি না দেখলে বিশ্বাস করবে না।
ওই রাস্তার ছেলেকে তুই ভুলে যা।
না বাবা তানজু রাস্তার ছেলে না, তুমি ওকে রাস্তার ছেলে বলবে না।
ও তো কি বলবো!
কি নেই ওর?! গাড়ি বাড়ি সবকিছুই ওর আছে।
শোন, জুতার কালি যতই দামি হোক না কেন তাকে ক্রীম হিসেবে যেমন মুখে মাখা যায় না ঠিক তেমনি ওই বান্দর যার চেহারা দেখলে মনে হয় গাজাখোর তাকে আমি আমার জামাই বানাবো না।
তাহলে বাবা তুমি আমাকেও ভুলে যাও, আমরা কাল বিয়ে করছি।
তানজু আর বিমার বিয়ের খবর শুনে উজকুম্বা বলল, তানজু শুধুই আমার ওকে কেউ আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।
উজকুম্বার ৩ চামচা কানাবাবা, চানাচুর আর মুন্না বলল, ম্যাডাম শুধু আপনি আদেশ দেন ওই বিমাকে আমরা পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবো!
ক্রোধে আর অপমানে উজকুম্বা আদেশ দিল বিমাকে সরিয়ে দেয়ার। চানাচুর, মুন্না আর কানাবাবা বিমাকে ধরে নিয়ে গেল, বিমা চিল্লাচ্ছে, ছেড়ে দে শয়তান, ছেড়ে দে আমার তানজু আসলে তোদের পেস্ট বানিয়ে দাত মাজবে।
তানজু খবর পেয়ে মারামারি শুরু করল (ইয়ালি ঢিসা ঢিস ঢিস, টিশুম টিশুম, ভুস ভুস, ওঅঅ..আআআ)
পুলিশ নিয়ে আসলেন মানু সাহেব সব ফাইটের পর। তারপর তানজুকে মেনে নিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।