আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
তুমি কি বুঝবে (অপমান করছি না), সীমারেখায় আবদ্ধ দেয়াল (গতকালের শেষ অংশ থেকে শুরু)
সোনা-রুপা চামচে মধুময় তব জন্ম ধন্য করে জগত, হাততালিতে
আমরা উদ্বোধনেই তিরস্কারী, কাচাঁ মরিচের ডলাডলিতে
মুখ-পেট-হাত জ্বলতে জ্বলতে দিন কাটাই যন্ত্রনার কল-কাকলিতে।
তুমি বুঝবে না, মধ্যহ কিভাবে আমাদের জ্বালায়
বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষার হল, শবদাহ থেকে উৎসব কোলাহল
অর্থ কিভাবে আমাদের স্বপ্নকে অর্থহীন ও ব্যক্তিত্বকে করে পরাজিত।
তুমি বুঝবে না, রাতের ভেতরই কেবল রাত থাকে না
চিন্তার পরাজয়, মত প্রকাশের ব্যর্থতা, মাধ্যমের পক্ষপাতিত্ব
আমাদের জ্ঞানের পূর্ণ বিজলী আলোতেও রাত নামায়। রাত
নামায় বিদ্যাপিঠের মধ্যমনিতে স্বার্থের কাজল রেখা (নায়িকা না)
কেবল রাতের ভেতরই রাত থাকে না, কঠিন কৃষ্ণকলি (গায়িকা না)
মন খারাপের সমস্ত উপাদান নিয়ে গান রচে, থুবড়ে পড়া আমাদের দিনের স্বপ্নগুলো নিয়ে, তার লেখায়। আর দিবামধ্যেও পূর্ণ সুর্য গ্রহন লাগে নেমে আসে ঘন-ঘটা আমাদের দিনে, তুমি বুঝবে না। রাতের অপেক্ষায় থাকে না গরীবের রাত, প্রতুষ্যেই কারও কারও রাত শুরু হয়ে যায়,
কাজ না পাওয়া ঐ দিন-মজুরের কি কোন রাত লাগে, ফকিরাপুলের ট্যাংকির নিচে বসেই ওর চোখে-মুখে রাত নেমে আসে। কেবল
রাতের গভীরেই রাত থাকে না, ঝকমক সাজা অফিসের ভেতরও কারও কারও রাত নেমে আসে, হাতে টর্চ লাইট নিয়েও কেউ কেউ সামনে দেখে অন্ধকার। তুমি বুঝবে না, স্বপ্ন ভাঙলে আধারের প্রয়োজন হয়, সন্ধ্যা নামের শব্দ প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় না সুর্য ডোবা-ওঠার, ঝপ করে রাত নেমে আসে, মাথা ফেরেলের সুত্রে নয়, এনার্জি লসে নয়, এমনিই ঘুরে ওঠে (লাট্টুর মত) আর ভোঁ-খাওয়া ঘুড়ির মত লাট খেতে খেতে আছড়ে পড়ে কারও কারও দিন, রাতের ফুটপাতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।