আমার মেজ আপুর বড় ছেলে শান্ত, ক্লাস ফোর এ পড়ে। গত পরশু দুলাভাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ সপ্তাহে শান্তর সুন্নতে খাতনা করাবেন। এ খবরে বাসার সবার সম্মতি পেলেও শান্ত পুরোপুরি বেঁকে বসেছে। সে কোনমতেও খাতনায় রাজি নয়। খাতনা না করানোর ব্যাপারে সে নাকি শপথ করেছে।
এক টুকরো কাগজে সে লিখেছে,
আমি শপথ করিতেছে যে আমি সুন্নতে খাতনা করাইবো না। কারণ এতে ব্যাথা লাগে। তাই আজ থেকে আমি একজন করে অভিভাবককে বোঝাবো যেন তারা খাতনা করিয়ে তার সন্তানকে কষ্ট না দেন। এভাবেই বদলে যাবে দেশ। "
এই শপথবাক্য দেখে দুলাভাই ক্ষেপে গেলেন।
তিনি শুক্রবার খাতনার ডেট ফিক্সড করে ফেললেন। তবু ভাগ্নে তার শপথে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আজ দুপুরে ফোনে আমাকে এসব জানিয়েছে। আমি সব শুনে বললাম: ভাগ্নে তোমার দিনবদলের কথা শুনে আমি খুব খুশি। আর খাতনায় শরীর থেকে কিছু অংশ কেটে ফেলা হবে।
ফলে অনাবৃত অংশে আলো আসবে। আর আলো এলেই দিনবদল হবে। বদলে যাবে দেশ। "
আমার কথা মনে হয় ভাগ্নের পছন্দ হয়নি। সে দ্রুত ফোনের লাইন কেটে দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।