মঙ্গলবার গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার বেরাইদেরচালা এলাকায় পলমল গ্রুপের আসওয়াদ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে সাতজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে কারখানার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রাশেদুজ্জামান ও ফিটারম্যান নাঈমুর রহমান (২৬) রয়েছেন। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
দুজনই রংপুরের মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ির ধলারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রাতেই তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কারখানার অপারেটর মো. শামীম জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিচতলায় বয়লার মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্বিতীয় তলায়ও ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় দুই তলা কারখানা ভবনের ছাদের একটি কক্ষে বিভিন্ন মেশিনের সুইচ বন্ধ করছিলেন নাঈমুর। পরে নীচে নামতে গিয়ে দ্বিতীয় তলায় আগুন দেখে মামা রাশেদুজ্জামানকে মোবাইলে আটকে পড়ার কথা জানান তিনি।
“তখন ভাগ্নেকে উদ্ধার করতে আগুন উপেক্ষা করে দোতলায় উঠে যান রাশেদুজ্জামান।
পরে আর তারা বের হয়ে আসেনি,” বলেন শামীম।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাত আড়াইটার দিকে এই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে কারখানার বিদ্যুৎ মিস্ত্রি রাজু, লাজু মিয়া ও খলিলসহ কয়েকজন শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহনওয়াজ দিলরুবা খান বলেন, কারখানার ভিতরে ভস্মিভূত ফেব্রিকস সরানোর পর আরো লাশ আছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন রাতে নয় জনের মৃত্যুর খবর দিলেও সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতটি লাশ উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
পুড়ছে গাজীপুরের পলমল গ্রুপের আসওয়াদ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কারখানা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর কারখানার বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও শ্রমিক বিভিন্ন পথে বের হয়ে আসেন। তবে সহকর্মীকে উদ্ধার এবং মেশিনের সুইচ বন্ধ করতে গিয়েই কয়েকজন আগুনে দগ্ধ হন।
পুড়ছে গাজীপুরের পলমল গ্রুপের আসওয়াদ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কারখানা।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু জাফর আহমেদ বলেন, আগুনের প্রকৃত কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহনওয়াজ দিলরুবা খানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।