আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাগ্নে যাবে শ্বশুরবাড়ি



আমার বিয়ের পর ভাগ্নে শ্বশুরবাড়ি শব্দটার সাথে প্রথম পরিচিত হয়েছিল। কারও কাছে যখন জিজ্ঞেস করত, আন্টিমনি কোথায়? জবাব পেত, শ্বশুরবাড়ি। সে বলত, আমিও শ্বশুরবাড়ি যাবো। সবাই ওর কথা শুনে হাসত বলে খুব মেজাজ খারাপ করত, এখানে হাসির কি আছে? আন্টিমনি যদি যেতে পারে তো সে কেন নয়। একদিন আমার শ্বশুরবাড়িতে আমাদের বাসার সবার দাওয়াত, ভাগ্নে খুব খুশী।

নানার সাথে দোকানে গিয়ে সবাইকে গর্ব ভরে বলে বেড়িয়েছে, আজকে আমি শ্বশুরবাড়ি যাবো। কে হাসল, কে হাসল না, হু কেয়ার্স। শ্বশুরবাড়িতে বড় একটা উঠান আছে যেখানে শামিয়ানা টাঙিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভাগ্নে এই বাড়িতে এসে সব ঘর ঘুরে ঘুরে দেখল বিজ্ঞের মত। তারপর উঠানে এসে বিজ্ঞজনের মতই মতামত দিল, এই ঘরটা সবচেয়ে ভালো, অনেক বড়।

অন্য আরেকদিন এসে দেখল, ঘরটা আর ঘর নেই, তার খেলার মাঠ হয়ে গেছে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে হাঁপিয়ে গেল। এক সময় হোঁচট খেয়ে পড়ল উপুর হয়ে, দুই হাঁটু ছড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে বোঝা গেল, কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সেটা প্রকাশ করাটা অপমানজনক হবে ভেবে চুপ করে একটা ঘরে গিয়ে বসে রইল। ননদ একটা অ্যান্টিসেপটিক লোশন আঙ্গুলে নিয়ে ভাগ্নে কিছু বুঝে ওঠার আগেই টুপ করে ওর দুই হাঁটুতে লাগিয়ে দিল। ভাগ্নে তখন ক্ষোভে ফেটে পড়ল, আমি কি বলছি আমার হাঁটুতে ব্যথা? ননদ তাড়াতাড়ি বলে উঠল, না না, এটা তো ব্যথার জন্য না, এটা হাঁটুতে মাখলে ত্বক সুন্দর হয়।

ভাগ্নেটা যেভাবে দিন দিন তালপাতার সেপাই হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে ওর জন্য শ্বশুরবাড়ি খোঁজা কষ্টই হয়ে যাবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।